কবি,কলাম লেখক ও সাংবাদিক শামসুর রাহমানের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী আজ শনিবার। একুশে পদক জয়ী এই সাহিত্যিক ১৯২৯ সালের এই দিনে পুরান ঢাকার ৪৬,মাহুতটুলি এলাকায় নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
কিংবদন্তি এই কবির জন্মবার্ষিকী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপন করছে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।
দিনটি উপলক্ষে রবিবার বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একটি একক লেকচার সেশনের আয়োজন করবে একাডেমি কর্তৃপক্ষ। এ অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট গবেষক ও কবি অধ্যাপক খালিদ হোসাইন মূল লেকচার প্রদান করবেন।
অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদা সভাপতিত্ব করবেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেবেন একাডেমির সম্পাদক এএইচএম লোকমান।
কবি শামসুর রাহমানের পৈতৃক বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা থানার মেঘনা নদীর তীরে পাড়াতলী গ্রামে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়ার সময় তিনি প্রগতিশীল লেখক-শিল্পী সমিতির সঙ্গে জড়িয়ে যান। মধুর ক্যান্টিনের আড্ডায় পাঠ করতেন নিজের কবিতা। সেই সঙ্গে অবিচলিতভাবে যুক্ত ছিলেন ভাষা আন্দোলনে।
১৯৫৩ সালে স্নাতক সম্মান পাশ করার পর তিনি পেশাগত জীবনে প্রবেশ করেন। দৈনিক মর্নিং নিউজে সহ-সম্পাদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা শামসুর রাহমান রেডিও পাকিস্তান, দৈনিক পাকিস্তান (পরে দৈনিক বাংলা) সাপ্তাহিক বিচিত্রা, অধুনা প্রভৃতি গণমাধ্যমে কাজ করেছেন।
শামসুর রাহমানের প্রথম কাব্য গ্রন্থ ‘প্রথম গান,দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’ প্রকাশিত হয় ১৯৬০ সালে। তিনি ৬৬টি কাব্যগ্রন্থ, চারটি উপন্যাস, একটি প্রবন্ধগ্রন্থ, একটি ছড়ার বই ও ছয়টি অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন।
দীর্ঘ সাহিত্য জীবনের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক, জীবনানন্দ পুরস্কার ও স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হয়েছেন। সেই সঙ্গে ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে।
কবি শামসুর রাহমান ১২ দিন কোমায় থাকার পর ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।