রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় এখন কেবলমাত্র পুলিশ ও সেনাসদস্যদের টহল দিতে দেখা যাচ্ছে।
এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার।
তবে সাধারণ ছুটির আওতার বাইরে থাকায় কাঁচাবাজার,ওষুধের দোকার ও হাসপাতালের মতো কিছু জরুরি স্থানে অল্প সংখ্যক মানুষকে দেখা গেছে।
করোনাভাইরাসের ভয় এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থগিতাদেশের আগেই রাজধানী ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: দেশে নতুন ৫ করোনা রোগী শনাক্ত, মোট আক্রান্ত ৪৪
এছাড়া, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে এবং বিদেশফেরতসহ অন্যান্যদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে জেলা প্রশাসনকে সহায়তার জন্য বুধবার থেকেই ঢাকার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও মাঠে নেমেছেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।
করোনা আতঙ্কে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এবং বাস টার্মিনালগুলোও জনশূন্য দেখা গেছে।
তবে বিভিন্ন জরুরি পণ্য বহনের জন্য ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ কিছু যানবাহন চলছে, কারণ এগুলো লকডাউনের আওতায় রাখা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইকে ‘যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছেন এবং চলমান সংকট মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে প্রাণহানির সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯০৫ জন।
বাংলাদেশে এপর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।