তিনি বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কমিটি করা হয়েছে যাতে বিদেশ ফেরত বা সংক্রমণের ঝুঁকিতে যারা আছেন তাদের ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’ নিশ্চিত করা যায়। একইভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রদেরও একই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সচিবালয় হতে এক ভিডিও বার্তায় মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
এছাড়াও এসময় তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের গৃহীত কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
এতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধ ও মোকাবিলার লক্ষ্যে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন ও বিদেশফেরত নাগরিকদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতসহ করোনা প্রতিরোধে কমিটিকে সার্বিক সহায়তা প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টি নিশ্চিত করাসহ করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদেরকে আবশ্যিকভাবে স্ব-স্ব নির্বাচনী এলাকার কর্মস্থলে অবস্থান করে স্বাস্থ্য বিভাগ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে সার্বিক সহায়তা প্রদানের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সেই সাথে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা সংক্রান্ত কার্যক্রমসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন, সমন্বয় ও নিবিড় তদারকির জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে অবস্থানের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার জন্য ব্যবহৃত স্থানে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভবনগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ব্যবহার উপযোগী করার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়াও সিটি করপোরেশন এলাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশনের আওতাধীন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালগুলোকে জরুরি প্রয়োজনে প্রস্তুত রাখা এবং মুজিববর্ষ উপলক্ষে সকল সিটি করপোরেশন এলাকায় স্থাপিত ক্ষণগণনা যন্ত্রসমূহের মাধ্যমে দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধকল্পে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচারের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনাসমূহ বাস্তবায়ন, মনিটরিং এবং সমন্বয় করার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের মনিটরিং সেল গঠন করার কথা বলা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সাধ্যমত কাজ করে যাচ্ছি। এ বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকল নাগরিককেই তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।’