যা সরকারকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা এবং চিকিৎসা ক্ষমতা বৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদী মহামারি মোকবিলায় প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করবে।
বেইজিং-ভিত্তিক বহুপক্ষীয় এ ব্যাংকটি তার এক বিবৃতিতে বলেছে, বিশ্বের সর্বাধিক ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। কোভিড-১৯ মহামারিতে ঝুঁকিপূর্ণ এ দেশটিতে জনসংখ্যার এক বিরাট অংশ পর্যাপ্ত মৌলিক সেবা ও অবকাঠামো ছাড়াই অনানুষ্ঠানিক জনবসতিগুলোতে বসবাস করছে।
সেই সাথে এদেশের রয়েছে বিপুল সংখ্যক অভিবাসী কর্মী। শ্রমজীবীদের ৮০ শতাংশেরও বেশি লোক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিযুক্ত রয়েছে। যা সংক্রামক এ রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে সামাজিক দূরত্ব ব্যবস্থা বজায় রাখা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে।
জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি পরিস্থিতি প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ এবং দ্রুত সাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারের ক্ষমতা সীমিত। আর কোভিড-১৯ এর আক্রান্তের ক্রমবর্ধমান ঘটনা দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর আরও বেশি চাপ ফেলেছে।
এআইআইবির বিনিয়োগ কার্যক্রমের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ডিজে পেন্ডিয়ান বলেন, ছড়িয়ে পড়া মহামারি এক অভূতপূর্ব বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে এবং সামাজিক, অর্থনৈতিক ও আর্থিক ক্ষেত্রে ব্যাপক ও মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ জরুরি প্রতিক্রিয়া এবং মহামারির প্রস্তুতি প্রকল্পের আওতায় এআইআইবি দেশের স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো, পদ্ধতি এবং সরবরাহের ব্যবস্থার ওপর উল্লেখযোগ্য চাপ কমিয়ে জনগণের ভোগান্তি এবং প্রাণহানির ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করবে।
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে এআইআইবির আগের সহায়তার ওপর ভিত্তি করে এ প্রকল্পটি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহ-অর্থায়ন হিসেবে এআইআইবি এ ঋণ দিচ্ছে।
এর আগে, ২০২০ সালের মে মাসে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান এবং অনানুষ্ঠানিক খাতে যারা কর্মসংস্থান হারিয়েছে তাদের জন্য এবং রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের নারী শ্রমিকদের সহায়তা করা উদ্দেশ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সাথে একত্রে সাড়ে ২২ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে এআইআইবি।