এ ছাড়া কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন নিয়ে সরকারের নেয়া পদক্ষেপ বৃহস্পতিবার আদালতকে জানাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উচ্চ ও নিম্ন আদালতে অবকাশ বেঞ্চ চালু রাখার নির্দেশনা চেয়ে করা এক রিটের শুনানিকালে বুধবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিকভাবে এ আদেশ দেয়। সেই সাথে আদালত জানায়, বৃহস্পতিবার রিট বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে।
এর আগে বুধবার সকালে উচ্চ আদালতে যে অবকাশ চলছে, তার মেয়াদ বৃদ্ধি করে অবকাশকালীন বেঞ্চ চালু রাখা এবং দেশের সব নিম্ন আদালতেও অবকাশকালীন বেঞ্চ চালু রাখার নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়। করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার হুমায়ূন কবির পল্লব বাদী হয়ে এ রিট দায়ের করেন।
আইনজীবী পল্লব জানান, হাইকোর্টে যে অবকাশ রয়েছে তা ২৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে। এটা সাময়িকভাবে বৃদ্ধি করার জন্য এবং নিম্ন আদালতে ডিসেম্বর মাসে যে অবকাশকালীন বেঞ্চ চালু থাকে তা এখনই চালু করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। যাতে করে লোক সমাগম কম হয় এবং করোনার ঝুঁকি এড়ানো যায়।
তিনি আরও বলেন, রিট আবেদনে বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইনে না রেখে সরকারি কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। কারণ, বিদেশ ফেরতদের মাধ্যমে এ করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে মনিটরিংয়ের জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠনের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে বলে জানান এ আইনজীবী।
রিট আবেদনে স্বাস্থ্য ও আইন সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং আইইডিসিআরের পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।