আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান জানিয়েছেন, সরকারের নির্দেশনা অনুসারে সকাল থেকে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
আইএসপিআরের আরেক সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম শামীম বলেন, বাংলদেশে নৌবাহিনীর সদস্যরা পাঁচ বিভাগের অধীনে ১৯টি উপকূলীয় উপজেলায় কাজ শুরু করেছেন।
‘সেইসাথে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী এবং জরুরি পরিবহনের ক্ষেত্রে সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী,’ বলেন তিনি।
গত সোমবার করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সশস্ত্র বাহিনী- সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর সদস্য মোতায়নের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
সরকারের এ নির্দেশনা পেয়ে মঙ্গলবার সকল জেলায় সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। তারা এরই মধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় সভা করেছেন।
তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের তালিকা তৈরি এবং বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা নিশ্চিত করার কাজে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করবেন। প্রয়োজনে সকল বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা দেবে সেনাবাহিনী।
প্রয়োজনে সকল বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা দেবে সেনাবাহিনী।
স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করার দায়িত্ব পালনের সময় নিজেদের নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) পরিধান করবেন।
আইএসপিআর পরিদপ্তরের সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ছয় উপকূলীয় এলাকার ১৯ উপজেলায় বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। উপজেলাগুলো হলো- ভোলা জেলায় সদর, বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, চরফ্যাশন, মনপুরা, লালমোহন এবং তাজমুদ্দিন; চট্টগ্রামের সন্ধীপ, নোয়াখালীর হাতিয়া ও সুবর্ণচর; কক্সবাজারের টেকনাফ, কুতুবদিয়া এবং মহেশখালী; বাগেরহাটের সদর ও মোংলা এবং বরগুনার আমতলী, বেতাগি, বামনা, পাথরঘাটা ও তালতলী।
মঙ্গলবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চতুর্থ রোগীর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এদিন নতুন করে আরও ছয়জন এ রোগে আক্রান্ত হওয়া নিয়ে মোট সংখ্যা ৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
এরইমধ্যে পাঁচজন রোগী আরোগ্য লাভ করায় বর্তমানে দেশে ৩০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী রয়েছে।