প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের মহা দুর্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কৌশল এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বিশ্বনেতাদের কাছে তা অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
রবিবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ-সিপিডি আয়োজিত 'সিপিডি এশিয়া ফাউন্ডেশন ডায়লগ অন ‘কোভিড ইনডিসড স্টিমুলাস প্যাকেজ ফর এসএমই ফর এসএমইএস অ্যান্ড উইমেন অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজেস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের কারণে প্রত্যেক দেশের সরকার প্রধান নানা কৌশল অবলম্বন করেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে লকডাউনে যে কৌশল এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। করোনাকালে ইউরোপের দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটা দুর্বল হয়ে যায়। আর সে সময় বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৌশলীভাবে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেন।
আরও পড়ুন:জোনভিত্তিক লকডাউন: মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটিগুলোকে সক্রিয় করার নির্দেশ স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর
মো. তাজুল ইসলাম জানান, করোনাকালে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অনেকটা থমকে দাঁড়ায়। আমাদের প্রতিটা সেক্টরেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ক্ষতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানা উদ্যোগ নেন। গার্মেন্টস ব্যাংক কলকারখানাসহ বিভিন্ন সেক্টরে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সরকার ২৮টির বেশি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এতে করে করোনাকালে যে ক্ষতি হয়েছে সেটা খুব দ্রুত কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, তৈরি পোশাক ও চামড়া শিল্পের দুস্থ শ্রমিক, রপ্তানিমুখী শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, কৃষিজীবী চিকিৎসায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী, দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং গৃহহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীসহ সকল মানুষের কথা চিন্তা করে প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে সরকার।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের অধীনে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৯ ডলার। পাকিস্তান সরকার ২৫ বছরে সেটা ১২৫ ডলারে উন্নীত করেছিল। কিন্তু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে দায়িত্ব নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের মাথাপিছু আয় ৮৯ থেকে ২৭৭ ডলারে উন্নীত করেছেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেটা আজ দুই হাজার ২৭৭ ডলারে উন্নীত হয়েছে।
আরও পড়ুন:স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসবে পশুরহাট: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে হলে সাধারণ মানুষসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর স্বপ্নপূরণে শেখ হাসিনা এখন কাজ করে যাচ্ছেন।
সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ এমপি, সুইডেন এম্বাসেডর এইচ ই এলেক্সজান্ডরা বের্ড বন, এশিয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ, বাংলাদেশ ব্যাংক এসএমই এবং স্পেশাল প্রোগ্রাম বিভাগের সহ মহা ব্যবস্থাপক লিজা ফাহমিদা প্রমুখ।
আরও পড়ুন:করোনা প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী