স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩,৪৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এবং ৪১৮ জনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মোট করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪১৬ জনে। দেশে এ পর্যন্ত ৪৬,৫৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ... আমি অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ আরও পাঁচজন মারা গেছেন।’
ডা. নাসিমা উল্লেখ করেন, করোনায় মারা যাওয়া শিশুর বয়স ১০ বছরের নিচে, তার কিডনি সমস্যাও ছিল। এছাড়া মৃত একজনের বয়স ৬০ বছরের ওপরে। বাকি তিনজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নয়জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ডা. নাসিমা আরও জানান, করোনা সংক্রমিত বেশিরভাগ মানুষ বাড়ি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা সুস্থও হয়ে উঠছেন। এছাড়া হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের সেবা দিতে গিয়ে অনেক স্বাস্থ্যকর্মীরা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
পবিত্র রমজান মাসে করোনা আক্রান্তদের সুস্থতার জন্য দোয়া করার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মাত্র ১৬ দিনের ব্যবধানে বিশ্বে আরও ১ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩ হাজার ২৭৬।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়া অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে কোভিড-১৯ রোগে মৃতের সংখ্যা গত ১০ এপ্রিল ১ লাখ অতিক্রম করেছিল। প্রাণঘাতী ভাইরাসটি গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজারের বেশি মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ২৯ লাখ ২০ হাজার ৯২০ জন। এদের মধ্যে বর্তমানে ১৮ লাখ ৮০ হাজার ৬৮২ জন চিকিৎসাধীন এবং ৫৭ হাজার ৮৬৩ জন (৩ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে ৮ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬২ জন (৮০ শতাংশ) সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং ২ লাখ ৩ হাজার ২৭৬ জন (২০ শতাংশ) রোগী মারা গেছেন।
নভেল করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।