তিনি সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
চিত্রশিল্পীর পাশাপাশি মুর্তজা বশীর ছিলেন কবি, ছোটগল্পকার, ঔপন্যাসিক, গবেষক, মুদ্রা বিশেষজ্ঞ ও চলচ্চিত্রকার। তিনি ১৯৮০ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
মুর্তজা বশীর বিখ্যাত পণ্ডিত ও ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ছেলে।
তিনি ১৯৪৯ সালে ঢাকা আর্ট কলেজে (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ) ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৫৪ সালে বের হওয়ার পর তিনি ১৯৫৬-৫৮ সালে ফ্লোরেন্সের একাডেমি অব ফাইন আর্টসে পড়াশোনা করেন। পরে তিনি ১৯৭১-১৩ সালে প্যারিসে পড়াশোনা করেন।
মুর্তজা বশীর আলট্রামেরীন, মিতার সঙ্গে চার সন্ধ্যে ও অমিত্রাক্ষরসহ বেশ কয়েকটি উপন্যাস লিখেছেন। তিনি বর্তমানে বিলুপ্ত সাহিত্য সাময়িকী দিলরুবা, সমকাল ও সওগাতে নিয়মিত লিখতেন।
তিনি ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্র নদী ও নারীর চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক ও প্রধান সহকারী পরিচালক। তিনি উর্দু চলচ্চিত্র কেইসে কাহু’র শিল্প নির্দেশকও ছিলেন।
তিনি শিক্ষকতা জীবনে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন এবং সেখানে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ছিলেন।
প্রখ্যাত এ শিল্পী ২০১৯ সালে স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।