তিনি ৪ জুন কানাডার ফোর্ট এরি শহরে প্রবেশ করে আশ্রয়প্রার্থী হওয়ার আবেদন করেন বলে দেশটির অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্য স্টারের খবরে বলা হয়েছে।
সাবেক এ প্রধান বিচারপতি ২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে বিদেশে বসবাস করছেন। বেশিরভাগ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন।
ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে চার কোটি টাকা ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করার অভিযোগে সিনহাসহ আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বাংলাদেশের প্রথম অমুসলিম প্রধান বিচারপতি সিনহা দ্য স্টারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি দেশের শত্রু, একজন অবাঞ্ছিত ব্যক্তি।’
তিনি ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর ছুটিতে যান এবং ১৩ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার পথে রওনা হন।
সরকার দাবি করেছিল যে তিনি স্বাস্থ্যগত কারণে ছুটিতে যাচ্ছেন। কিন্তু দেশ ছাড়ার আগ মুহূর্তে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে তিনি অসুস্থ নন।
তার অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার এক দিন পর সুপ্রিম কোর্টি এক বিবৃতিতে জানায়, সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, নৈতিক স্খলন ও অর্থ পাচারসহ ১১টি অভিযোগ রয়েছে।
নিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় তিন মাস আগে ২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর তিনি দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।
কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান দ্য স্টারকে বলেছেন যে সিনহা বাংলাদেশ ত্যাগ করার পর থেকেই ‘সরকারকে নিয়ে বেঠিক বক্তব্য’ দিচ্ছেন।
‘দেশে ফেরা নিয়ে তার প্রতি কোনো ধরনের হুমকি নেই,’ জানিয়ে মিজানুর বলেন, ‘তিনি শুধুমাত্র এসব কথা বলেছেন তার আশ্রয়প্রার্থী হওয়ার দাবি জোরালো করার জন্য।’