তিনি বলেন, ‘কিছু লোক আমাদের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। এরা মনেপ্রাণে বাংলাদেশের ভালো চায় না। তাদের কারণে ত্রিশ লাখ মানুষের রক্ত দিতে হয়েছিল।’
সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াবে সরকার: পরিকল্পনামন্ত্রী
মৌলভীবাজার পৌরসভার আয়োজনে প্রেস ক্লাব চত্বরে কোদালীছড়া খালের উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্থর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কর্মী হওয়া গর্বের বিষয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সাংবাদিকরা জাতিকে পথ দেখায়, খুলে দেয় তৃতীয় নয়ন: তথ্যমন্ত্রী
এমএ মান্নান বলেন, ‘এখন জ্বালাও পোড়াওয়ের দিন শেষ, উন্নয়নের বাংলাদেশ। তবে ব্রিজ-কালভার্টের উন্নয়ন করলে হবে না। শত্রুদের চিহ্নিত করতে হবে। এটি গণতান্ত্রিক সরকার, স্বৈরতান্ত্রিক সরকার নয়। গায়ের জোরে কিছু করা যায় না। গায়ের জোরে কাজ করে স্বৈরশাসক। এই সরকার আপনাদের সরকার।’
তথ্য দিয়ে আস্থার জায়গা তৈরিতে ভূমিকা রাখবে ডেটাফুল: পরিকল্পনামন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ২০ হাজার টাকা করেছে। ১০ টাকায় চাল, বিনামূল্যে চাল ও ঋণ সুবিধা দিয়েছে। দরিদ্রের ম্যাপ আছে, বিদ্যুতের ম্যাপ আছে, স্কুলের ম্যাপ আছে। প্রত্যেক জেলায় পর্যায়ক্রমে যারা পিছিয়ে আছেন তাদের উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।’
‘বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা উঁচু, সেগুলোতে পানির একটু সমস্যা হয়। আমরা সবাই মিলে কাজ করতে চাই। আমাদের কাছে মনে হয় সকল সমস্যা এক দিনেই সমাধান করে দেই। কিন্তু কাজ শেষ করার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আগামী পাঁচ বছর কী কাজ হবে সেটির পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরিকল্পনা ব্যতীত কোনো কাজ হয় না,’ বলেন মন্ত্রী।
করোনামুক্ত হয়ে বাসায় পরিকল্পনামন্ত্রী
তিনি জানান, সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা-সিলেট ছয় লেন সড়ক নির্মাণ করছে। সড়কটি আধুনিক ও বিশ্বমানের হবে। এই সড়কে ১৭ কিলোমিটার ফ্লাইওভারসহ মধ্যখানে ডিভাইডার হবে। সড়কের পাশাপাশি ডাবল রেললাইন স্থাপন করা হবে। এছাড়া পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী নদীতে সুরঙ্গ পথের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমানে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য সৈয়দা জহুরা আলাউদ্দিন, জেলা প্রশাসক মীর নাহীদ আহসান, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা সায়রা মহসীন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান ও প্রকল্প পরিচালক কাজী মিজানুর রহমানসহ অন্যরা।
করোনা আক্রান্ত পরিকল্পনামন্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি
প্রসঙ্গত, কোদালীছড়া খালের মোট দৈর্ঘ্য পাহাড় বর্ষিজুড়া হতে হাইল হাওর পর্যন্ত ২১ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে মৌলভীবাজার পৌরসভা এলাকায় কুদালীছড়ার দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৯০ কিলোমিটার। বর্তমানে কুদালীছড়ার উভয় পাশে উন্নয়ন কাজ হবে ২ দশমিক ৬০ কিলোমিটারে। মোট পাঁচটি প্রকল্পে ব্যয় হবে ২৪ কোটি ৯৫ লাখ ৮৯ হাজার ৭২৯ টাকা।