কিশোরগঞ্জে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালনের সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১১ পুলিশ সদস্যসহ ২৯ জন আহত হয়েছেন। লাঠিচার্জ ও শর্ট গানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
বিএনপি সূত্র জানায়, ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে যুবদল নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসার পথে স্লোগানে বাঁধা দেয় পুলিশ। পরে, বিনা উস্কানিতে পুলিশ যুবদল নেতাকর্মীদের উপর চড়াও হয়ে লাঠিচার্জ ও গুলি করে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ৩০, আটক ১৩
এতে জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুশতাক আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জোবায়েরসহ ১৮ জন নেতাকর্মী পুলিশের গুলি ও লাঠিচার্জে আহত হয়েছে বলে দাবি করেন জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম।
পরে, বিকাল সোয়া ৩টা পর্যন্ত পুলিশ জেলা বিএনপি কার্যালয়ে ঘেরাও করে রাখে। এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, রহুল হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাইল মিয়াসহ শীর্ষ নেতারা আটকা পড়েন। পুলিশ চলে গেলে নেতারা বেড়িয়ে যান।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ জানান, যুবদলের মিছিল থেকে উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করায় তিনি নিজে তাদেরকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা আরও বেপরোয়া হয়ে তার প্রতি চেয়ার ও ইটপাটকেল ছুড়ে মারে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে লাঠিচার্জ ও শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন হোসাইন জানান, বিএনপি নেতাকর্মীদের ইটপাটকেলের আঘাতে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদসহ ১১ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ: ৪০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৩ মামলা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা