বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘তাদের (কূটনীতিক) নিজেদের দায়িত্ববোধ থাকা উচিত। আমরা আশা করি তারা নিজেদের দায়িত্ববোধের পরিচয় দেবেন।’
ঢাকা সিটি নির্বাচনের আগ মুহূর্তে বুধবার ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাসায় কূটনীতিকদের বৈঠক সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দুই সিটিতে যাতে পুরোপুরি ‘আদর্শ’ নির্বাচন হয় সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন এবং এ নির্বাচনে সরকারের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ নেই।
দেশে খুব ন্যায্য ও বিচক্ষণ ব্যবস্থা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা খুব স্বচ্ছ, আমাদের এ নির্বাচন অত্যন্ত স্বচ্ছ হবে।’
ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের কর্মকাণ্ডে অসন্তুষ্ট ড. মোমেন বলেন, ‘এটা দুঃখজনক যে বিদেশি দূতাবাসগুলো আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যথেষ্ট নাক গলায়। তারা তাদের কাজ বাদ দিয়ে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বেশি নাক গলায়। এটা খুব সমুচিত নয়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে যে কারা (নির্বাচন পর্যবেক্ষণে) যাবে বা না যাবে। ‘আমাদের আচরণবিধি আছে। কূটনীতিকদেরও আচরণবিধি আছে। তারা সে মতো কাজ করবেন বলে আমরা আশা করি।’
আচরণবিধি না মানলে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, যারা (কূটনীতিক) আচরণবিধি মানবেন না তাদের এখান থেকে চলে যেতে বলা হবে।
এদিকে, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ হবে এবং সেখানে জনগণ ‘শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর’ পরিবেশে’ ভোট দিতে পারবেন।
সেই সাথে তিনি জানান, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন কেমন হচ্ছে তা দেখতে তিনি এখানকার কূটনৈতিক সহকর্মীদের সাথে যোগ দেবেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়া অর্থাৎ ব্রেক্সিট নিয়ে বৃহস্পতিবার নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
চার মেয়ারপ্রার্থীর সাথে সাক্ষাৎ এবং নির্বাচন কমিশনের সাথে ভালো আলোচনা করেছেন জানিয়ে হাইকমিশনার ডিকসন উল্লেখ করেন যে নির্বাচনের জন্য লেভেল-প্লেয়িং ফিল্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের সার্বিক ব্যাপারে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি।
এ নির্বাচন বড় ধরনের গণতান্ত্রিক চর্চা হবে উল্লেখ করে তিনি আশাপ্রকাশ করেন এটি সহিংসতামুক্ত হবে। তার মতে, বাংলাদেশসহ বিশ্বের কোনো স্থানেই সহিংসতা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ হওয়া উচিত নয়।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, মানুষের সাথে কথা বলা এবং দেশে কী হচ্ছে তা জানা কূটনীতিকদের দায়িত্ব।