শিক্ষা মন্ত্রণালয় রবিবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘বর্ধিত ছুটি চলাকালে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মার্চে খোলার সিদ্ধান্ত হতে পারে: কাদের
এর আগে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (কওমি ছাড়া) চলমান ছুটি ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সাথে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের জানিয়েছেন।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে না: প্রধানমন্ত্রী
এদিকে, সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য সব ধরনের সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কিন্টারগার্টেনের ছুটিও ১৪ ফেরুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ সময়ে নিজেদের এবং অন্যদের সুরক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞতিতে জানানো হয়, প্রাধনমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক সময়ে সময়ে জারিকৃত নির্দেশনা ও অনুশাসনগুলো শিক্ষার্থীদের মেনে চলতে হবে। শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকরা নিশ্চিত করবেন এবং স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ করবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়বে: শিক্ষামন্ত্রী
সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রাধান শিক্ষকরা তাদের নিজ নিজ শিক্ষার্থীরা যাতে বাসস্থানে অবস্থান করে নিজ নিজ পাঠ্যবই অধ্যয়ন করে সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অভিবাবকদের মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন বলেও বিজ্ঞতিতে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। সেই ছুটি পরবর্তীতে কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর সর্বশেষ তা চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এবার ছুটির মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হলো।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে দ্বিধা বিভক্ত অভিভাবকরা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটির পাশাপাশি গত বছরের এইচএসসি ও সমমান, প্রাথমিক সমাপনী ও সমমান এবং জেএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করে সরকার।