শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সাথে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের জানিয়েছেন।
এদিকে, সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য সব ধরনের সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কিন্টারগার্টেনের ছুটিও ১৪ ফেরুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ সময়ে নিজেদের এবং অন্যদের সুরক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করবে।
আজ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞতিতে আরও জানানো হয়, প্রাধনমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক সময়ে সময়ে জারিকৃত নির্দেশনা ও অনুশাসনগুলো শিক্ষার্থীদের মেনে চলতে হবে। শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকরা নিশ্চিত করবেন এবং স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ করবে।
সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রাধান শিক্ষকরা তাদের নিজ নিজ শিক্ষার্থীরা যাতে বাসস্থানে অবস্থান করে নিজ নিজ পাঠ্যবই অধ্যয়ন করে সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অভিবাবকদের মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন বলেও বিজ্ঞতিতে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। সেই ছুটি পরবর্তীতে কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর সর্বশেষ তা চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এবার ছুটির মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হলো।
আরও পড়ুন: শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে কাজ করছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটির পাশাপাশি গত বছরের এইচএসসি ও সমমান, প্রাথমিক সমাপনী ও সমমান এবং জেএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করে সরকার।
বর্ধিত ছুটি চলাকালে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে, দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ফেব্রুয়ারি মাসের যে কোনো দিন খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
আরও পড়ুন: দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস, অন্যদের সপ্তাহে একদিন
তিনি ২৬ জানুয়ারি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির যে কোনো দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেব আমরা। এ বিষয়ে সরকারের নির্দশনা মেনে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দশনা অনুযায়ী সময় নির্ধারণ করব।’
প্রতিমন্ত্রী আরেক প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে বিদ্যালয় খুলে দেয়ার চিন্তাভাবনা করছেন তারা।
আরও পড়ুন: সংসদে বিল পাস, এইচএসসির ফল প্রকাশের বাধা কাটল
‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তুতি নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে এবং একটি গাইডলাইন অনুসরণ করতে বলা হয়েছে,’ বলেন জাকির হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বিদ্যালয় খুলে দিয়ে সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে পালা করে ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা চালু করা হবে। এ ক্ষেত্রে সপ্তাহে দুই-এক দিন পঞ্চম শ্রেণি এবং এভাবে পর্যায়ক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পাঠদান হবে। আর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস নেয়া হবে সপ্তাহে এক দিন করে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা, গবেষণার মান আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নীত করুন: শিক্ষামন্ত্রী
বেসরকারি ও কিন্ডারগার্টেন স্কুল খোলার বিষয়ে কী নির্দশনা থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বেসরকারি ও কিন্ডারগার্টেন স্কুল নিয়ে কিছু জানি না। কিন্ডারগার্টেন আমাদের কাছ থেকে কোনো নিবন্ধন নেয় না। তাই তাদের বিষয় কোনো দায়িত্ব আমাদের নেই।’
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছিলেন, শিশুরা যাতে আবার তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আসতে পারে এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পুনরায় শুরু করতে পারে সে জন্য সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে: শিক্ষামন্ত্রী