রাজধানীর মিরপুরের দক্ষিণ বিশিলে গোদাখালী খাল পরিষ্কার কার্যক্রম ও খাল থেকে পাওয়া বিভিন্ন মালামাল পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি।
মেয়র বলেন, ‘যেভাবে এডিস মশা থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য চিরুনি অভিযান পরিচালনা ও জরিমানা করেছি, একইভাবে আসন্ন শীত মৌসুমে নগরবাসীকে কিউলেক্স মশা থেকে সুরক্ষা দিতে আগামী ২০ তারিখ থেকে আমরা ডিএনসিসি এলাকার খাল, ডোবা, নালা ইত্যাদি পরিদর্শন করব। সেই খাল, ডোবা, নালা পরিষ্কার অবস্থায় পাওয়া না গেলে আমরা জরিমানা করব।’
সরকারি, বেসরকারি কিংবা ব্যক্তি মালিকানাধীন যেকোনো সংস্থাই হোক না কেন, তাকে জরিমানা করা হবে। কারণ খাল কচুরিপানাপূর্ণ বা অপরিষ্কার থাকলে সেখানে মশা বংশবিস্তার করে, বলেন তিনি।
মেয়র বলেন, ‘কিছুদিন ধরে আমরা ডিএনসিসি এলাকার বিভিন্ন খাল ও লেক পরিষ্কার করছি। বিভিন্ন খাল থেকে আমরা শতাধিক জাজিম, কয়েক ডজন সোফা, টেলিভিশনের খোলস, ভাঙা ফ্রিজ, সুটকেস, বালিশ, ২০০ ট্রাক ডাবের খোসা পেয়েছি।’
‘একটু বৃষ্টি হলেই খাল ভরে যায় এবং উপচে পড়ে, জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। অথচ আমাদের ড্রেনের পানি খালে ও খাল থেকে পানি নদীতে যাওয়ার কথা,’ বলেন ডিএনসিসি মেয়র।
ডিএনসিসি বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন ১৬ খাল ও লেক চলতি মাসের মধ্যে পরিষ্কার কাজ শেষ করবে। প্রতিদিন ৫১০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী পরিষ্কার কাজে করছেন।
মেয়রের পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।