গত ২৭ আগস্ট খুলনার দৌলতপুর থেকে নিখোঁজ রহিমা বেগমকে ফরিদপুর থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন ইউএনবিকে বলেন, শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে তাকে জীবিত উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি বলেন, রহিমা আত্মগোপনে রয়েছেন এমন খবর পেয়ে সৈয়দপুর গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল। তারা এখন খুলনায় যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: খুলনার রহিমা খাতুনের খোঁজ ১৫ দিনেও মেলেনি
৫২ বছর বয়সী রহিমার বড় মেয়ে মরিয়ম মান্নান আকুল আবেদনে পর প্রায় এক মাস ধরে নিখোঁজ তার মাকে খুঁজে পাওয়া পুরো জাতিকে স্পর্শ করছে, সম্প্রতি ময়মনসিংহে দাফন করা অজ্ঞাত এক নারীর লাশ তার মায়ের বলে সন্দেহ করা হয়েছিল।
ফেসবুকে মরিয়ম একটি পোস্ট দিয়েছেন যে তারা তার মাকে ফিরে পাওয়ার আশায় খুলনা শহরে ‘নিখোঁজ’র পোস্টার লাগিয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় রহিমা ১৮ দিন ধরে নিখোঁজ, স্বামীসহ গ্রেপ্তার ৬
প্রসঙ্গত, গত ২৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে দৌলতপুরের বণিকপাড়া এলাকায় পানি আনতে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। পরে তার মেয়েরা তার স্যান্ডেল, স্কার্ফ এবং পানির পাত্র খুঁজে পান।
এ বিষয়ে তার পরিবার প্রথমে পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করে, এর ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রহিমার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় সন্দেহভাজন কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তথ্য প্রতিবেদন (এফআইআর) দায়ের করে।
আরও পড়ুন: খুলনায় রহিমা খাতুন নিখোঁজ মামলার তদন্তভার পিবিআইয়ের হাতে
মরিয়ম বলেন, রহিমা কেগম ১৭ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পরে পুলিশ তার মাকে খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হলে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর তার ছোট মেয়ে আদুরী আক্তার মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে স্থানান্তরের জন্য খুলনার একটি আদালতে আবেদন করেন।