চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসাসেবা দিতে বাংলাদেশর সরকারের আমন্ত্রণে সফররত চীনের মেডিকেল টিম আহতদের চিকিৎসায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহ্ মো. হেলাল উদ্দীন এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে অতি অল্প সময়ের মধ্যে চীনা মেডিকেল টিম বাংলাদেশে আসেন। এ টিমটা বাংলাদেশে এসেছে ২২ সেপ্টেম্বর এবং কাজ শুরু করেছেন ২৩ সেপ্টেম্বর। এই সময়ের মধ্যে তারা ১৬০ জন রোগী তারা ভিজিট করেছেন। এর মাঝে তারা ১০৫ জন রোগীর মেডিকেল রেকর্ডস পরীক্ষা করেছেন।
আরও পড়ুন: নবনিযুক্ত সচিব আনোয়ার উল্যাহর সংসদ সচিবালয়ে যোগদান
তিনি আরও বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করার সঙ্গে চীন সরকার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেডিকেল টিম গঠন করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই টিমকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন। এটা অসাধারণ একটা ব্যাপার। তারা এই সীমিত সময়ের মধ্যে পাঁচটি হাসপাতাল ভিজিট করেছেন। এই মেডিকেল টিমটি রোগীদের দেখে ডাক্তারদের চিকিৎসার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন।
এছাড়া এই ১০৫ জন রোগীর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা খুবই গুরুতর। চীন থেকে যে টিমটি এসেছে সেটি মূলত একটি অ্যাসেসমেন্ট টীম। তারা গিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের একটি পূর্ণাঙ্গ অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট পাঠাবেন। গুরুতর আহত রয়েছেন তিনজন। এদের মধ্যে দুইজন আইসিইউতে আছন, একজন চোখে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। আরও নার্ভ ইনজুরড কিছু রোগী রয়েছেন।
সচিব ড. হেলাল উদ্দীন বলেন, গুরুতর আহতদের ব্যাপারে আমাদের প্রাথমিক চেষ্টা থাকবে যাতে বাংলাদেশে সুচিকিৎসা করা যায়। চীনের মেডিকেল অ্যাসেসমেন্ট টিমের রিপোর্ট দেখে তাদের পরামর্শের ভিত্তিতে এ ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নেব।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যাতে চাইনিজ এক্সপার্টেদের দেশে এনে চিকিৎসা দেওয়া। অথবা আমাদের প্রয়োজনীয় মেডিকেল যন্ত্রপাতি বা দক্ষতার ঘাটতি থাকলে আহতদের বিদেশে পাঠানোর চিন্তা ভাবনা করছি। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় খুবই আন্তরিক। গুরুতর আহতসহ সকল আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো ঘাটতি থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, চীন থেকে আগত মেডিকেল টিম গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং তাদের চিকিৎসা আমরা আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী দিতে পারছি কিনা এটা তারা পর্যবেক্ষণ করেছেন। এটি নিয়ে তারা খুবই সন্তুষ্ট।
আমাদের হাসপাতালগুলোর ইকুইপমেন্ট বিষয় ক্যাপাসিটি লিমিটেশন আছে কিনা এ বিষয়টিও তারা দেখেছেন। এ জায়গায় আমাদের কিছু ঘাটতি আছে বলে উল্লেখ করেন সচিব হেলাল।
সংবাদ সম্মেলন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম সাইফুল ইসলামসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।