তিনি বলেন, ‘শুধু গবেষণা করা যথেষ্ট নয়, (আমি) ফলাফল জানতে চাই। আপনারা এটা নিশ্চিত করুন যে সেগুলো (ফলাফল) দেশের জন্য উপকারী।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার গবেষণা কার্যক্রমকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে কারণ এটি দেশের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘খাদ্য, চিকিৎসা বা শিক্ষা যাই হোক না কেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে গবেষণার প্রয়োজন।’
তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্টের অধীনে ২০১০-১১ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকার ৫১৯ জন গবেষককে ১৫৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা প্রদান করেছে।
তিনি আরও জানান, ২০০৯-১০ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৩ হাজার ২২৫ জন শিক্ষার্থী ও গবেষক ৮২ কোটি ৬২ লাখ টাকা পেয়েছেন। যেখানে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ হাজার ২০০ গবেষক ১৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা পাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯-১০ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকার ৩ হাজার ২৪২টি প্রকল্পের পক্ষে ১৩০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা দিয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫১৬টি প্রকল্পের জন্য ১৬ কোটি টাকা দিচ্ছে।
গবেষণার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের গবেষণা চালানোর মাধ্যমে প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে হবে।’
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দেশকে সেভাবেই গড়ে তুলতে চাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জনগণকে দক্ষ করে তুলতে চায় যাতে তারা বৈজ্ঞানিক মন নিয়ে বড় হতে পারেন এবং প্রযুক্তিভিত্তিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারেন। এসময় তিনি আবারও এসএসসি পর্যন্ত বিজ্ঞানের বিষয়গুলো সবার জন্য পড়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
‘আমি মনে করি এসএসসি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অবশ্যই বিজ্ঞান শিখতে হবে, এটি সবার জন্য উন্মুক্ত হওয়া উচিত, কারণ প্রাথমিক জীবন থেকেই বিজ্ঞান শিক্ষার অনুশীলন করা উচিত,’ যোগ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ড. এএফএম রুহুল হক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন স্বাগত বক্তব্য দেন।