এ নিয়ে একই আদালত গত দুই দিনে ৩০ আসামিকে কারাগারে পাঠাল। বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা মাহমুদ পৃথক দৃটি আদেশ দেন।
প্রধান আসামি আমিনুল ইসলাম বগুড়া সদর উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি ও বগুড়া পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডের ২য় বার নির্বাচিত কাউন্সিলর এবং বগুড়া জেলা মোটর মালিক গ্রূপের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন:হাইকোর্টে জামিন জালিয়াতি: সাত আসামির জামিন বাতিল
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নাফ জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়া জেলা মোটর মালিক গ্রুপের কার্যালয় দখল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় মোটর মালিক গ্রূপের সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মশিউল আলম দিপন বাদী হয়ে চাঁদাবাজি, মারপিট ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে বগুড়া সদর থানায় যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলামসহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন।
মামলা দায়েরের পর ১৪ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের জামিন আদেশ নিজেরা তৈরি করে ৩০ জনের জামিন হয়েছে বলে বগুড়া সদর থানায় তা জমা দেন। এরপর বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি ওই আদালত অভিযুক্ত ৩০ জনকে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশের পর বুধবার ৩০ জনের মধ্যে ১৪ জন আসামি বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা মাহমুদের আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
একই মামলার প্রধান আসামি আমিনুল ইসলামসহ অপর ১৬ জন বৃহস্পতিবার একই আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।