বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ
নতুন চিন্তাকে গ্রহণ করতে চাই: নসরুল হামিদ
নতুন চিন্তাকে গ্রহণ করতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, তরুণদেরকে বলব আপনারা যদি বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে আরও বড় পরিসরে কাজ করতে চান, তাহলে পাওয়ার সেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা নতুন চিন্তাকে গ্রহণ করতে চাই। এটা হলো বড় বিষয়। কোনো ভয় নাই, সাহস রাখতে হবে। ভুল হবে, ভুল না হলে নতুন কিছু তৈরি হবে না।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত বিচ্ছুরণের ফাইনাল পিচিং শেষে বিজয়ী দলসহ শীর্ষ বাছাই দলগুলোর হাতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারুণ্যের প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাওয়ার সেল এবং গ্রিন ডেল্টা ইনস্যুরেন্স কোম্পানির উদ্যোগে উদ্ভাবনী আইডিয়া প্রতিযোগিতা 'বিচ্ছুরণ' এর বিজয়ী সাত দলের হাতে প্রাইজমানি ৫ লাখ টাকা এবং শীর্ষ বাছাই ২৩ দলের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেয় আয়োজকেরা।
প্রতিযোগিতার বিজয়ী দলগুলোর হাতে প্রাইজমানি ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়ার পর নসরুল হামিদ সব তরুণকে উদ্ভাবনী কার্যক্রমে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এসময় গবেষণায় আগ্রহীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের এনার্জি রিসার্চ কাউন্সিল নামে একটি বিভাগ রয়েছে, যেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকগণ ও বিশ্ববিদ্যালয় সহযোগিতা নিতে পারে। আপনারা জানেন প্রতি বছর ২০ কোটি টাকার মত আমরা ফান্ড করি। ছোট যেই প্রজেক্টগুলো আরও বড় হতে চায়, গবেষণা করতে চায়, আমরা তাদের ফান্ড করছি। হাজার হাজার ইঞ্জিনিয়ার দরকার আমাদের, হাজার হাজার ম্যানেজমেন্টের মানুষ দরকার আমাদের।
ভবিষ্যতে এনার্জি সেভিং করতে হলে গবেষণার বিকল্প নেই জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ভবিষ্যতের জ্বালানি কেমন হবে তার জন্য তিনটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ: জ্বালানিটি ইফিসিয়েন্ট কিনা, আনইন্টারাপডেট কিনা এবং সাশ্রয়ী কিনা। এখন যে খরচ করে যানবাহন চালানো হয় বিদ্যুৎচালিত যানবাহন হলে সেই খরচের পরিমাণ ৮০ শতাংশ হ্রাস করা সম্ভব ছিল। অর্থাৎ, এখন ১০০ টাকা ভাড়া দিলে তখন সেটি হবে ২০ টাকা ভাড়া। যত দ্রুত আমরা সেখানে যেতে পারব, তত ইফিসিয়েন্ট হব। আর এটির কার্বন নিঃসরণ 'জিরো পার্সেন্ট'। এই আজকে যারা অংশগ্রহণ করেছে, এখনই তাদের আইডিয়াগুলো বড় কিছু হয়ে যাবে সেটা আমরা আশা করি না। আমাদের লক্ষ্য মূলত তাদের আইডিয়া তৈরির অভ্যাস গড়ে তোলা। সেটা করলে ভবিষ্যতে তারা আরও ভালো ও বড় পরিসরের আইডিয়া তৈরি করতে পারবে। যা ভবিষ্যতে আমাদের কাজে আসবে।
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়নে বাংলাদেশ সৌরভিত্তিক উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে: নসরুল হামিদ
১ বছর আগে
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলপিজি ব্যবহারের জন্য সময়োপযোগী নীতি প্রয়োজন: নসরুল
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গ্যাসের ব্যবহার বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায় নতুন, হালনাগাদ, আধুনিক ও সময় উপযোগী এলপিজির (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এলজিপির ব্যবহার ২০০৯ সালে ৬০ হাজার মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ১ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন হয়েছে।’ এই গ্যাস এখন বাড়ি, মোটর যান ও শিল্পকারখানাসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নগরীর টিসিবি ভবনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আয়োজিত ‘হোটেল ও রেস্তোরাঁয় এলপিজির নিরাপদ ব্যবহার’- শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
বিইআরসি চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় এলপিজি অপারেটরদের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন অংশীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি এলপিজির জন্য একটি নতুন নীতি তৈরি করার সময় অংশীজনদের মতামত বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জ্বালানি নিয়ন্ত্রকের উদ্দেশে।
নসরুল হামিদ বিইআরসিকে বলেন, ‘এটা নিশ্চিত করুন যে সমস্ত এলপিজি ব্যবহারকারীরা পণ্যটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারের নিয়ম, প্রবিধান ও নীতি মেনে চলছে।’
তিনি বলেন, এলপিজি সম্পর্কিত বেশিরভাগ দুর্ঘটনা গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজের কারণে ঘটছে।
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, প্রতিটি সরকারি সংস্থা যেমন রাজউক, এলপিজি অপারেটর এবং জ্বালানি নিয়ন্ত্রকদের নিরাপত্তা নির্দেশনা মানা হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করার দায়িত্ব রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জৈব জ্বালানি বাড়াতে উৎসাহিত করে: নসরুল হামিদ
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এলপিজি লাইন সঠিকভাবে ডিজাইন করা হয়েছে কিনা তা যাচাই করার পর রাজউককে নির্মাণ পরিকল্পনার অনুমোদন দিতে হবে।’
তিনি বলেন, অপারেটর, ডিলার, সাব-ডিলার ও বিক্রেতাদের ভুল ব্যবস্থাপনার কারণে এলপিজি সিলিন্ডার লিক হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আসলে এলপিজি সিলিন্ডার একটি অপারেটরের কাছ থেকে পাঁচ থেকে ছয় হাত ঘুরে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছায় এবং তারা সেগুলো হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে যত্নবান নয়।’
কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন জ্বালানি সচিব নুরুল আলম, বাংলাদেশ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান চৌধুরী, ওমেরা পেট্রোলিয়ামের দাউদুর রহমান খান, জেএমআই এলপিজি লিমিটেডের লিয়াকত আলী এবং বুয়েটের অধ্যাপক মাসুদ হেলালী কর্মশালায় উপস্থাপনা করেন।
ইমরান চৌধুরী অভিযোগ করেন, বিইআরসি তাদের কর্মশালায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিল; কিন্তু তারা কর্মশালার ইস্যুতে মূল অংশীজন হলেও তাদের মতামত দেওয়ার কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি।
ওমেরা পেট্রোলিয়ামের দাউদুর রহমান খান বলেন, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট অপারেটররা অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবহার করছে না।
তিনি বলেন, সিলিন্ডার নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, কিছু অপারেটর রান্নার উদ্দেশ্যে সিএনজি ব্যবহার করছে যা বিপজ্জনক এবং ফুড কোর্টের এলপিজির জন্য সিঙ্গেল লাইন ব্যবহার করা উচিত।
আরও পড়ুন: পাইপলাইনে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৯৯৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন: নসরুল
বিএনপি-জামায়াত আমলের মতো দিনে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হলে এখন কি হতো: নসরুল
১ বছর আগে
২ সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হতে প্রায় ২ সপ্তাহ সময় লাগবে।
রবিবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি বর্তমান লোডশেডিং থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারব।’
তিনি স্বীকার করেন যে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে লোডশেডিংয়ের ফ্রিকোয়েন্সি বেড়েছে এবং বলেন যে বর্তমানে পরিস্থিতি পরিচালনা করতে কর্তৃপক্ষকে ২৫০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং অবলম্বন করতে হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বর্তমান সংকটের জন্য বিদ্যুত উৎপাদন ইউনিটে জ্বালানি- বিশেষ করে গ্যাস, কয়লা ও তরল জ্বালানির সরবরাহের ঘাটতিকে দায়ী করেছেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সংকট নিরসনের চেষ্টা চলছে: নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, ‘আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহের ব্যবস্থা করার জন্য গত দুই মাস ধরে চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু এলসি খোলার (লেটার অব ক্রেডিট) সমন্বয় করতে সময় লাগছে।’
তিনি আরও বলেন, তার মন্ত্রণালয় যত দ্রুত সম্ভব পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানির চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, চলমান তাপপ্রবাহে পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে পড়েছে।
নসরুল হামিদ বলেন, কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ‘কিন্তু জ্বালানি সুরক্ষিত করার বিষয়টি সবসময় আমাদের হাতে থাকে না।’
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলে সরাসরি ভর্তুকি দেওয়া হয়নি: নসরুল হামিদ
ইলিশা-১ দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র: নসরুল হামিদ
১ বছর আগে
আদানির ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মার্চে জাতীয় গ্রিডে আসবে: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ভারতের আদানি গ্রুপের ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আগামী মার্চে জাতীয় গ্রিডে আসবে।
মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ড বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনের পর প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন বলে পাওয়ার ডিভিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় আদানি গ্রুপের ঝাড়খণ্ড পাওয়ার প্লান্টের বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট ২২ টাকা হবে। এই বছরের মার্চ থেকে আমদানি শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পরিদর্শনের সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান ও বিপিডিবির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান।
সফরকালে নসরুল সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ চলতি বছরের মার্চ থেকে বিদ্যুৎ পাবে যার জন্য একটি ডেডিকেটেড ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপন করা হয়েছে।
পাওয়ার ডিভিশনের বিবৃতিতে তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে,‘আদানির ঝাড়খণ্ড প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ আমদানি মার্চ থেকে সম্ভব হবে।’
এতে বলা হয়েছে, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা প্ল্যান্ট থেকে প্রায় ৭৫০ মেগাওয়াট পাব। আগামী গ্রীষ্মে আমাদের চাহিদা মেটাতে আমাদের আরও বিদ্যুতের প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু
আদানির ঝাড়খণ্ড কয়লা-চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটির প্লান্ট থেকে ৮০০ মেগাওয়াট করে মোট এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে।
নসরুল বলেন, ‘আমরা শক্তির বিকল্প উৎস খুঁজছি। আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’
আদানি গ্রুপ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ট। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করার জন্য ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর সই হওয়া একটি চুক্তির অধীনে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খন্ডে ১৬০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়ায় দুটি সাবস্টেশন এবং বিদ্যুৎ আমদানির জন্য একটি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করেছে।
এদিকে, বিপিডিবি-এর কর্মকর্তারা ঝাড়খন্ড প্ল্যান্ট থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের শুল্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ এর দাম বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত পায়রা পাওয়ার প্লান্ট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রায় দ্বিগুণ হবে।
তারা জানায়, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় বেসরকারি ভারতীয় কোম্পানি আদানি ১৬০০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করলে, সরকারের সঙ্গে সই হওয়া 'ত্রুটিপূর্ণ' চুক্তির কারণে বাংলাদেশ প্রতি মাসে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
বিপিডিবির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে কয়লার বিদ্যমান দাম বিবেচনা করে ৭৫ শতাংশ প্ল্যান্ট ফ্যাক্টরে আদানির প্ল্যান্ট থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট আমদানি করতে, কয়লা পরিবহনের খরচসহ আমাদের প্রতি মাসে ২১০০ কোটি টাকা দিতে হবে। অনুরূপ অন্যান্য লেনদেনের কিছু নিয়ম ও কানুন যদি এখানে মানা হতো, তবে খরচ প্রতি মাসে ১৪০০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা যেত।’
তিনি আরও বলেন, ‘চুক্তির ত্রুটির জন্য দেশকে প্রতি মাসে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হবে এবং বছরে আট হাজার ৪০০ কোটি টাকা পর্যন্ত লোকসান হবে।’
আরও পড়ুন: আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন চালু
সব তরল জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা হবে: নসরুল হামিদ
১ বছর আগে
গ্রিড বিপর্যয়ের সঠিক কারণ খুঁজতে আরও সময় প্রয়োজন: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দু’দিন আগে জাতীয় পাওয়ার গ্রিডে বিপর্যয়ের সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। এ ঘটনায় দেশের অধিকাংশ এলাকা ব্ল্যাকআউটের কবলে পড়ে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, যখন দেশের পূর্বাঞ্চলে বিদ্যুতের ঘাটতি ও পশ্চিমাঞ্চলে উদ্বৃত্ত হয়েছে ঠিক তখনই ট্রান্সমিশন সিস্টেম বিকল হয়ে গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দেয়।’
তিনি উল্লেখ করেন, গ্রিড বিপর্যয়ে প্রথম পাওয়ার প্ল্যান্ট হিসেবে ঘোড়াশাল স্টেশনে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়। এতেই বিস্তর আকারে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে পিজিসিবির (পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ) একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে এবং শিগগিরই বিদ্যুৎ বিভাগের আরেকটি কমিটিও গঠন করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বিএনপি নেতা ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদের বক্তব্য উল্লেখ করে বলেন, গ্রিড বিপর্যয় নাশকতা কি না তা তদন্ত করা হবে।
তিনি বলেন, ইকবাল মাহমুদ কীভাবে জানেন যে গ্রিড বিপর্যয়ের মতো ঘটনা ভবিষ্যতেও ঘটবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়: তদন্ত শুরু করেছে পিজিসিবি কমিটি
নসরুল হামিদ অবশ্য স্বীকার করেছেন যে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে পিজিসিবি’র উন্নয়ন প্রত্যাশিতভাবে হয়নি।
পিজিসিবি অটোমেশনের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে আমরা অনেক পিজিসিবি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আমরা তফসিল বাস্তবায়নে দুই বছর পিছিয়ে আছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করি, আগামী দুই বছরের মধ্যে আমরা অটোমেশন প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হব এবং এরপরে এ ধরনের গ্রিড বিপর্যয়ের সম্ভাবনা হ্রাস পাবে।’
আরও পড়ুন: গ্রিড ব্যর্থতার পেছনে বিদ্যুৎ খাতে চুরি: ফখরুল
জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়: পিজিসিবি একটি ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
২ বছর আগে
বিদ্যুত খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন: নসরুল
বিদ্যুৎ খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
৪ বছর আগে