ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা শনিবার থানায় মামলা করার পর রাতেই কামালকে গ্রেপ্তার করে রবিবার আদালতে তোলা হয়।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারের পর কামালের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। কিন্তু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়ায় আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় গ্রেপ্তারের পর ঘিওর উপজেলা যুবলীগ থেকে কামালকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান জনি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে কিশোরীর বড় বোনকে বিয়ে করার প্রস্তাব নিয়ে যায় কামাল। তার আন্তরিক ব্যবহারে কিশোরীর পরিবারের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সূত্রে ওই কিশোরীকে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে নিয়ে যেত কামাল।
দুই মাস আগে কামাল কিশোরীকে নিয়ে ঢাকায় বেড়াতে গিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে ওঠে। সেখানে কামাল ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও করে। পরে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে নিয়মিত ধর্ষণ করে কামাল। পরে লোক মারফত ওই ভিডিও কিশোরীর বাবার কাছে গেলে তিনি কামালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।