চট্টগ্রাম ও ফেনীতে রবিবার বজ্রপাতে পাঁচজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন।
রবিবার (৬ জুন) সকালে ফটিকছড়ির ৭নং কাঞ্চন নগর ইউনিয়নে দুই নারী এবং মীরসরাইয়ের সাহেরখালী এলাকায় এক ছাত্র নিহত হয়।
নিহতরা হলেন- ফটিকছড়ির বানুশ্বর দাশের স্ত্রী লাকি দাশ (৩৮), যুগেন্দ্র শীলের স্ত্রী ভানুর শীল (৪০) ও মীরসরাইয়ের মোশাররফ হোসেনের ছেলে মো. সাজ্জাদ হোসেন (১৬)।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কাঞ্চন নগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডস্থ ফেঁজারাম মহাজনের বাড়ি (ডলু পাড়া) সংলগ্ন স্থানে সকাল থেকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী নিজস্ব কৃষিক্ষেতে কাজ করছিল ৪ নারী। সকাল ১১টার দিকে হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে ৪ নারী আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় আব্দুল মোনায়েম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন- মালতী রানী দাশ (৫০) ও শোভা রানী দে (৪৫)। তারা ফটিকছড়ির কাঞ্চন নগর ডলুর পাড়া, ৮নং ওয়ার্ড মানিকপুরের বাসিন্দা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আফসার উদ্দিন বলেন, চারজন নারী কৃষিক্ষেতে কাজ করছিল, হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি ও বজ্রপাত হলে চারজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে আশঙ্কাজনক দু’জনকে ডাক্তার মৃত্যু ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ নিহত ৩
এদিকে জেলার মীরসরাই উপজেলার ১৬ নং সাহেরখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড পূর্ব ডোমখালী গ্রামে বজ্রপাতে মো. সাজ্জাদ হোসেন নিহত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ১০টার দিকে সাজ্জাদ তার বাবার সাথে মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু বরন করেন। এ সময় তার বাবা গুরুতর আহত হয়। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এদিকে, ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের আলামপুর গ্রামে বজ্রপাতে সাজেদা আক্তার সাথী (১৫) নামের এক মাদরাসাছাত্রী ও আল-আমিন (৬) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আলামপুর গ্রামের আনুফরাজী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় সাজেদা আক্তার ও আল-আমিন বৃষ্টির সময় ছোট ফেনী নদীর পাড়ে মাছ ধরা দেখতে যায়।
এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে আহত হয়ে তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাজেদা আক্তার সাথীআলামপুর গ্রামের মো. সোলেমানের কন্যা ও কাটাখিলা দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। আল-আমিন উপজেলার চর সাহাভিকারী গ্রামের মো. বাহারের ছেলে।
বগাদানা ইউনিয়নের স্থানীয় ওয়ার্ড় সদস্য আলাউদ্দিন বাবুল জানান, মৃত সাজেদা ও আল-অমিন সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই-বোন হয়, আল-আমিন আলামপুর গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল।
বগাদানা ইউপি চেয়ারম্যান ইসহাক খোকন মাদরাসাছাত্রীসহ বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।