পরিচয় না পাওয়া একজনের লাশের ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রশাসন।
মহানগর পুলিশের এডিসি আবদুর রব (দক্ষিণ) বলেন, ‘নিহত সাতজনের মধ্যে চারজনের মরদেহ হস্তান্তর করা হলেও বাকি তিনজনের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছিল না। বিকাল ৩টার দিকে আবদুস শুক্কুর (৫০) নামে আরও একজনকে শনাক্ত করেন তার স্বজনরা। নিহত শুক্কুর পেশায় রিকশাচালক।’
এছাড়া, মো. সেলিম (৪০) নামে এক ভ্যানচালকের মরদেহ শনাক্ত করেছেন তার বন্ধু জসিম। সেলিমের বাড়ি কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায়।
পরিচয় পাওয়া নিহতদের মধ্যে রয়েছেন পটিয়ার ঊনাইনপুরা শাহগদী মার্কেট এলাকার বাসিন্দা পলাশ বড়ুয়ার স্ত্রী এবং মেহের আটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অ্যানি বড়ুয়া। তার মরদেহ কাকা মৃদুল বড়ুয়ার কাছে বিকালে হস্তান্তর করা হয়।
বিস্ফোরণের পর দেয়াল চাপায় নিহত হন উখিয়ার কুতুবের খিল এলাকার আবদুল হামিদের ছেলে নুরুল ইসলাম (৩০)। তিনি পেশায় রঙ মিস্ত্রি ছিলেন। তার মরদেহ স্ত্রী সাদিয়া বেগমকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
পরিচয় পাওয়া আরও দুজন হলেন সাতকানিয়ার মৌলভির দোকান এলাকার বাসিন্দা আইনজীবী আতাউর রহমানের স্ত্রী জুলেখা খানম ফারজানা (৩০) ও তার বড় ছেলে আতিকুর রহমান শুভ (৭)।
এদিকে, দুর্ঘটনায় আহত অন্তত নয়জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম ও পরিচয় জানা গেছে। এদের মধ্যে আছেন যে ভবন থেকে বিস্ফোরণের সূত্রপাত হয় ওই ভবনের বাসিন্দা সন্ধ্যা নাথ (৪০) ও তার বড় বোনের মেয়ে অর্পিতা নাথ। অর্পিতা চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ও সন্ধ্যা ক্যাজুয়ালটি বিভাগে ভর্তি আছেন।
চমেক হাসপাতালে আরও ভর্তি আছেন ডরিন তৃষা গোমেজ (২৩), ইউসুফ (৪০), ইসমাইল (৩০) ও আবদুল হামিদ (৪২)। বিস্ফোরণে ছিটকে আসা দেয়ালের অংশ পড়ে তারা আঘাত পেয়েছেন।
রবিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে পাথরঘাটা এলাকার ব্রিকফিল্ড রোডে অবস্থিত পাঁচতলা বড়ুয়া ভবনের সামনে গ্যাসের পাইপলাইন প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এ সময় ওই ভবনের দুটি দেয়াল ধসে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই সাতজন মারা যান। আহত হন আরও কয়েকজন।