করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউন ১৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে রবিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন।
কাদের নিয়মিত এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সাত দিনের লকডাউন দু’দিন বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এছাড়াও সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনে যাবে যা পূর্বের চেয়ে কঠোর হবে।’
আরও পড়ুন: করোনার ঢেউয়ের মধ্যে ‘গ্রন্থমেলা’: লোকসান গুনছেন প্রকাশকরা
শুক্রবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, কোভিড -১৯ সংক্রমণ রোধে ১৪ থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে কঠোর লকডাউনের পরিকল্পনা করছে সরকার।
এর আগে, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নেয়ায় গত সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে দেশে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন দেয়া হয় যা আজ রাতে শেষ হবে।
তবে, লকডাউনে বিক্ষোভের মুখে সরকার বুধবার থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন সার্ভিস পুনরায় চালু করার অনুমতি দেয়। পাশাপাশি, শুক্রবার থেকে পাঁচ দিনের জন্য দোকান ও শপিংমল পুনরায় চালু করারও অনুমতি দিয়েছে।
এদিকে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। যা একদিনে সর্বোচ্চ।
এর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৬৬১ জনে দাঁড়িয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ওই সময়ের মধ্যে আরও ৫ হাজার ৩৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৯৩৭ জনে।
সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় ২৪৩টি পরীক্ষাগারে ২৫ হাজার ১৮৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ৩৬ হাজার ৭৭টি নমুনা।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন, আজ প্রজ্ঞাপন
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২০.৪৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৮৩৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৭৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমকি ৩০ শতাংশ।