তিনি বলেন, ‘দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুত আছে। দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। কেউ অহেতুক দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বুধবার সচিবালয়ে চালের দাম বৃদ্ধি নিয়ে চাল মিলারদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের বাজার সার্বক্ষণিক তদারকি করার জন্য এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার আইনের মধ্য দিয়ে যা করা দরকার তা করা হবে।
তিনি জানান, বাংলাদেশে চালের চাহিদা বছরে ২ কোটি ৮৪ লাখ ১৬ হাজার ৭১০ মেট্রিক টন এবং মাথাপিছু ৪৬৯ গ্রাম। দেশে উৎপাদন হয়েছে মোট ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে ১৪ লাখ ৫৯ হাজার চাল গম সরকারি গুদামে মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে ১১ লাখ ১৩ হাজার ৩০৩ মেট্রিক টন শুধু সরকারি গুদামে মজুদ আছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আমাদের চালের কোন ঘাটতি নেই, পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। চাল আমদানির দরকার নেই, আমরা চাল রপ্তানির জন্য প্রস্তুত আছি। তাই দাম বৃদ্ধির কোন কারণ নেই।’
চালের দাম না বাড়াতে পাইকারি ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
এসময় তিনি সতর্ক করে বলেন, চালের দাম বাড়ালে কোন ক্রমেই সহ্য করব না, প্রশ্রয় দেব না।
এছাড়া আগামী ১০ দিন পরিবহন ধর্মঘট থাকলেও চালের বাজারে এর প্রভাব পড়বে না বলেও জানান তিনি।