শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) চান্দগাঁও থানায় মামলাটি করেন আকাশের মা জোবেদা খানম।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মিতুর মা শামীম শেলী, বাবা আনিসুল হক চৌধুরী, বোন সানজিলা হক চৌধুরী আলিশা এবং মিতুর বন্ধু ভারতীয় নাগরিক উত্তম প্যাটেল ও ডা. মাহবুবুল আলম।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বশর জানান, আকাশের আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার অভিযোগে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে আটক মিতুকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার ভোরে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ভাড়াবাসায় নিজের শরীরে ইনসুলিন ইনজেকশন পুশ করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশ (৩৩) আত্মহত্যা করেন।
মৃত্যুর আগে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ত্রী মিতুর সঙ্গে অন্য পুরুষের অন্তরঙ্গ ছবি ও চ্যাটের স্ক্রিনশট পোস্ট করে তাতে সুইসাইট নোট লিখে তার মৃত্যুর জন্য স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে দায়ী করেন।
এরপর কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর নন্দনকাননের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে আত্মগোপনে থাকা মিতুকে আটক করে।