ফারুক কাজীর মেয়ে আরশি কাজী ইউএনবিকে জানান, জুমার নামাজের পর রাজধানীর কাঁটাবন মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে, ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের (ইউএনবি) সাবেক প্রধান সংবাদদাতা শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে এলিফ্যান্ট রোডের নিজ বাসভবনে ঘুমন্ত অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
আইন প্রতিবেদক ফোরামের (এলআরএফ) সাবেক প্রেসিডেন্ট ফারুক কাজী স্ত্রী, এক কন্যা এবং অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
দিল্লি দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার ফারুক কাজী বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাসহ (বাসস) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন।
বিশিষ্ট নাট্যকার ও সাংবাদিক কাজী রশিদুল হক পাশা ফারুক কাজীর বড় ভাই।
তিনি ১৯৪৯ সালের ১৭ জানুয়ারি কুষ্টিয়া জেলার থানাপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফারুক কাজীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন প্রবীণ সাংবাদিক ফারুক কাজীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এক শোক বার্তায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক ফারুক কাজীর মৃত্যুতে আমরা একজন দক্ষ, অভিজ্ঞ ও নির্ভীক সাংবাদিককে হারালাম।
পৃথক শোক বার্তায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘সাংবাদিক ফারুক কাজী ছিলেন একজন দক্ষ, অভিজ্ঞ ও নির্ভীক সাংবাদিক। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, ইউএনবি, অবজারভারসহ বেশ কিছু সংবাদ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থেকে তিনি তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে যে শূন্যতা তৈরি হলো তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।’
এছাড়াও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন(বিএফইউজে) ফারুক কাজীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
এক বিবৃতিতে বিএফইউজে'র সভাপতি মোল্লা জালাল ও মহাসচিব শাবান মাহমুদ বলেন, ‘ফারুক কাজীর মৃত্যুতে বাংলাদেশের সাংবাদিকতার অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হলো। পেশাদারিত্ব ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার চর্চা সারাজীবন করে গেছেন তিনি। নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদের কাছে একজন অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে থাকবেন ফারুক কাজী।’
ফারুক কাজীর আকস্মিক মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ইউএনবি পরিবার।