দীর্ঘ সাতবছর পর চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন শুরু হলে দু’পক্ষের চেয়ার ছোড়াছুড়ির ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এসময় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিকসহ ৬ জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের মঞ্চের পাশে এঘটনা ঘটে। আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে বিএনপির কার্যালয় আ.লীগ নেতাকর্মীদের ভাঙচুরের অভিযোগ
আহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান, ছাত্রলীগ নেতা ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, রাজু আহমেদ, হিরক ও স্বপন।
আহত হিরোক বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিকের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্মেলন সফল করতে মাঠে কাজ করছিলাম।
এসময় মাফিজুর রহমান মাফির নেতৃত্বে তাবু, তাওরাত, প্লাবনরা সংঘবন্ধভাবে আমাদের বাধা দেন। আমাদের নেতা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিকের ওপর চেয়ার নিক্ষেপ করে তারা। আমরা প্রতিরোধ করার সময় আহত হই।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. এহসানুল হক তন্ময় বলেন, মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক ও হিরকের মাথা এবং তারেক হাসানের হাতের একটি আঙ্গুল আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। আহত স্থানে সেলাই দেয়া হয়েছে। তারা শঙ্কামুক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সম্মেলনে আসন নিয়ে দুইটা গ্রুপ হয়েছিল বলে ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে জেনেছি।
আরও পড়ুন: মুগদায় আ.লীগ-বিএনপির ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ২টি মোটরসাইকেলে আগুন
কাদেরকে কোথায় কখন মারধর করেছে, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এটি আমার জানা নেই। তারা কোন স্থানে মার খেয়েছে সেটি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর টাউন ফুটবল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
দীর্ঘ সাত বছর পর আজ চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে। জেলা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠেয় এ সম্মেলনে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের সমাগম ঘটানোর উদ্যোগ নিয়েছে দলটি। মাঠে নৌকার আদলে বিশালাকৃতির মঞ্চ তৈরি ও প্যান্ডেল বানানো হয়েছে। সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। সম্মেলনে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম মিলন, পারভিন জামান কল্পনা ও অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার।
এরপর সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনের সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আ.লীগের জনসভা: বাহারি রঙের পোশাকে পলোগ্রাউন্ডে নেতাকর্মীদের ভিড়