পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, মন্ত্রণালয়কে জনবান্ধব করতে সব জনসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বাধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা বাড়াতে ইনস্টিটিউশনাল মেমোরি, কর্মকর্তাদের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, তাদের মূল্যায়নের জন্য কি-পারফর্মেন্স ইন্ডিকেটর, প্রজেক্ট বাস্তবায়ন ড্যাশবোর্ড প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে।
সোমবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট মন্ত্রণালয়ে পরিণত করতে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সুস্থ পরিবেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পরিবেশমন্ত্রীর ১০০ কর্মদিবসের পরিকল্পনা ঘোষণা
মন্ত্রী আরও বলেন, পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান প্রক্রিয়াকে পুরোপুরি স্মার্ট ও সফটওয়্যার ভিত্তিক করা হবে। মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট করতে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের জনসেবা প্রদানের মানকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগ একসঙ্গে কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ডিজিটালাইজেশনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে, প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে এটুআই নলেজ পার্টনার হিসেবে কাজ করবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, এটুআই প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আইসিটি শাখার কর্মকর্তাসহ দুই মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় স্মার্ট মন্ত্রণালয় বিনির্মাণে উভয় মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও, স্মার্ট মন্ত্রণালয়ের তথ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াকরণ এবং জনসেবা প্রদানে আইসিটি ব্যবহারের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এ বিষয়ে দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বর্জ্যমুক্ত করতে জাপানি মডেল ব্যবহার করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সাফারি পার্কে প্রবেশে অনলাইন টিকিটের ব্যবস্থা করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী