নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় শুক্রবার ‘আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার্থে জাতিসংঘ সনদকে সমুন্নত রাখা’ শীর্ষক এক উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য প্রদানকালে এ আহ্বান জানান তিনি।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জাতিসংঘের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, জাতিসংঘের প্রতি বাংলাদেশের অটল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা। তিনি জাতিসংঘে দেয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম ভাষণ থেকে উদ্বৃত করে বলেন, ‘জাতিসংঘ সনদে যে মহান আদর্শের কথা বলা হয়েছে তা আমাদের জনগণের আদর্শ এবং এ আদর্শের জন্য তারা চরম ত্যাগ স্বীকার করেছেন’।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ যে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে চলেছে তা জাতির পিতার উদ্বৃত আদর্শ থেকেই এসেছে। দশ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মানবিকতা ও সাহসী নেতৃত্ব প্রদর্শন করেছেন তা তুলে ধরেন স্থায়ী প্রতিনিধি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ফলে এই অঞ্চল একটি অস্থিতিশীলতা থেকে রক্ষা পেয়েছে। আর এই আশ্রয়দান জাতিসংঘ সনদের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিরই বহিঃপ্রকাশ।
এসময় বিভিন্ন অপশক্তি দ্বারা সৃষ্ট অসম নিরাপত্তা হুমকি, সাইবার জগতে নতুন চ্যালেঞ্জসহ জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্যতা, অসমতা, সন্ত্রাসবাদ, সহিংস উগ্রবাদ ও মানব বাস্তুচ্যুতির মতো উদীয়মান চ্যালেঞ্জসমূহের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রত্যাশা পূরণে এসকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তিনি বহুপাক্ষিকতাবাদ ও জাতিসংঘ সনদকে সমুন্নত রাখার ওপর জোর দেন।
জাতিসংঘ সনদের ৭৫তম বর্ষপূর্তিকে সামনে রেখে এটি ছিল নিরাপত্তা পরিষদের এবছরের প্রথম উন্মুক্ত আলোচনা। ভিয়েতনামের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্যাম বিন মিন এই উন্মুক্ত আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন যেখানে একশোরও বেশি সদস্য রাষ্ট্র বক্তব্য প্রদান করে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং চেয়ার অব দ্যা এলডার্স ম্যারি রবিনসন।