স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্যই সরকার পরিকল্পনা নেয় এবং সমন্বিত উদ্যোগের ফলেই সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হ্য়।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। এমনকি আগামী একশত বছরের জন্য তিনি বাংলাদেশের পথ পরিক্রমা ডেল্টা প্ল্যানের মাধ্যমে ঠিক করেছেন।
আরও পড়ুন: স্মার্ট সিটি গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট নাগরিক: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
শুক্রবার রাজধানীতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এ প্ল্যানিং উইক-২০২৩ উপলক্ষ্যে ‘স্পেশাল প্ল্যানিং ফর দ্য ফিউচার’- শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় পরিকল্পনাবিদদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণ করে তখন মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৭০০ ডলার। আর বর্তমানে তা ২ হাজার ৮২৪ ডলার। মাত্র ১৪ বছরের ২ হাজার ১২৪ ডলারের ব্যবধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত পরিকল্পনার ফলেই সম্ভব হয়েছে।
এসময় তিনি বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সঙ্গে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ আছে জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মেমোরান্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং সইয়ের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, বাসযোগ্য ঢাকা শহরের জন্যই বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) করা হয়েছে। পরিকল্পিত ঢাকার জন্য পরিকল্পনাবিদসহ সবাইকে সচেতন হওয়ারও আহ্বান জানান।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন এবং এতে সভাপতিত্ব করেন বুয়েটের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. আব্দুল জব্বার খান।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু মোকাবিলায় আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
এসডিজি অর্জনে সকলের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী