জামালপুর জেলা কারাগারের অভ্যন্তরে বন্দিদের সংঘর্ষে ৬ জন কারাবন্দি নিহত হয়েছেন। এতে কারারক্ষীসহ আহত হয়েছেন আরও ৭ জন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে কারাগারের ভেতরে এই ঘটনা ঘটে।
কারাগারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
নিহত বন্দিরা হলেন- আরমান, রায়হান, শ্যামল, ফজলে রাব্বি বাবু, জসিম ও রাহাত। তারা ৬ জনই জামালপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত ৪ বন্দি এবং ৩ কারারক্ষীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কোনো বন্দি পালাতে পারেনি বলেও জানান জেলার আবু ফাত্তাহ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়া কারাগারের গেট ভেঙে পালিয়েছে বেশ কয়েকজন কয়েদি
আবু ফাত্তাহ বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে কারাগারের ভেতরে বন্দিদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের সময় বন্দিরা কৌশলে জেলারকে মারধর ও জিম্মি করে কারাগার থেকে বের হবার চেষ্টা করে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাকা গুলি ছোড়ে কারারক্ষীরা। পরে বিক্ষুব্ধ বন্দিরা কারাগারের ভেতরের দুইটি ভবন, জেলারের কক্ষ ও প্রধান গেইটের ভেতরে একটি গেইট ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করে। এসময় বন্দিরা ১৪ কারারক্ষীকে জিম্মি করে।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কারাগার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে। রাতেই জিম্মি কারারক্ষীদের ফেরত দেয় বন্দিরা। রাত ৩টায় কারাগার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
জেলার বলেন, কারাগারের ক্ষতিগ্রস্ত ফটক ও ভেতরে অন্যান্য ভবন দ্রুত মেরামতের জন্য গণপূর্ত বিভাগ কাজ শুরু করেছে।
জামালপুর জেলা কারাগারে থাকা ৬৬৯ জন বন্দির মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত বন্দি রয়েছে ১০০ জন। এছাড়া এই কারাগারে কোনো জঙ্গি নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: গাজীপুর কারাগারে বিদ্রোহের চেষ্টা, গোলাগুলিতে ২২ বন্দি আহত