তিনি বলেন, ‘এবছর মোট ২২ লাখ ৮৭ হাজার ২৭১ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। গত বছরের চেয়ে এবার ৫৬ হাজার ৪৪২ জন শিক্ষার্থী বেশি পাস করেছে। ফলে পাসের হারও গত বছরের চেয়ে ২. ০৭ শতাংশ বেড়ে ৮৭. ৯০ শতাংশ হয়েছে।’
গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে খুদে শিক্ষার্থীদের ফলের অনুলিপি হস্তান্তরের পর মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশকালে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় এবছর মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৮ হাজার ৪২৯ জন। যা গত বছরের থেকে ১০ হাজার ৩৩৪ জন বেশি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, নকলমুক্ত এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবহীন পরিবেশে এবারের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হয়েছে।
শতভাগ পাস ও শূন্য করা প্রতিষ্ঠান: চলতি বছরে ২৯ হাজার ২৭৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫ হাজার ২৪৩ টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী শতভাগ পাস করেছে। অপরদিকে ৩৩ টি প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের তথ্য: অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ২২ লাখ ২১ হাজার ৫৯১ জন। পাস করেছে ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ৭১৮ জন। পাসের হার ৮৭.৫৮ শতাংশ। জিপিএ - ৫ পেয়েছে ৭৬, ৭৪৭ জন
সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩ হাজার ৪০০টি, শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৪ টি, মোট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০ হাজার ১৮৫ টি।
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের তথ্য: অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ৩ লাখ ৮০ হাজার ৪৪২ জন। পাস করেছে ৩ লাখ ৪১ হাজার ৫৫৩ জন। পাসের হার ৮৯. ৭৭ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ হাজার ৬৮২ জন।
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১ হাজার ৮৪৩ টি। শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৯ টি। মোট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯ হাজার ৯০ টি।
বিদেশ কেন্দ্রের তথ্য: অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ৪৩২ জন। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ৪১৯ এবং অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ১৩ জন। পাসের হার ৯৬. ৯৯ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫৩ জন।
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, মোট ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ জন পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণে গত ২ নভেম্বর সারাদেশে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল।