যথাযথ মর্যাদা সহকারে আজ বুধবার দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে জেল হত্যা দিবস। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসমূহ জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের এই দিনে প্রাণ হারানো জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছে।
কোভিড-১৯ স্বাস্থ্য নির্দেশিকা অনুসরণ করে সীমিত আকারে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেবাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
এরপর জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানের প্রতিও শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘হত্যাকারীদের লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে তরুণ প্রজন্মের চেতনা থেকে মুছে ফেলার। পাশাপাশি একটি অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী শাসনের জন্ম দেওয়া, যা করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বুধবার জেল হত্যা দিবস
তিনি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, 'জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতা। এর মাধ্যমে পরাজিত শক্তি ও রাষ্ট্রবিরোধী মহল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে আওয়ামী লীগের নাম মুছে দিয়ে বাঙালিকে জাতীয় নেতাহীন করার অপচেষ্টা চালিয়েছে।'
তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী, শান্তিপূর্ণ সোনার বাংলাদেশ গড়তে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে চার জাতীয় নেতা ও দেশের মুক্তিযুদ্ধের নায়ক- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে হত্যা করা হয়।
এই চার নেতা মুজিবনগর সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই সরকার ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেয়।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রী, মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী এবং এএইচএম কামারুজ্জামান মুজিবনগর সরকারের স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।