সরকার জ্বালানির দাম বাড়ানোর ফলে শনিবার রাজধানীতে তীব্র পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। এদিন সকালে অধিকাংশ গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
শুক্রবার রাতে সরকার ডিজেল, অকটেন ও পেট্রোলের দাম যথাক্রমে ৪২.৫ শতাংশ, ৫১.৭ শতাংশ ও ৫১ শতাংশ বাড়িয়েছে।
বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেল ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্রোল ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সরকারের এই ঘোষণার পর পরিবহন মালিকরা রাজধানীতে গণপরিবহন না চালানোর সিদ্ধান্ত নেন।
গুলশান-১ এ অবস্থিত একটি বেসরকারি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্মরত মাসুমা নাসরিন রিমি নামের এক নারী মিরপুর-১২ এর পূরবী বাসস্ট্যান্ডের সামনে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও বাসে উঠতে পারেননি। অবশেষে তিনি অন্য যাত্রীদের সঙ্গে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় মহাখালী ওয়্যারলেস গেট এলাকায় যান।
রিমি বলেন, ‘আমি যে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠেছিলাম, তা মহাখালী ওয়্যারলেস গেট পয়েন্টে পরিবহন শ্রমিকদের অবরোধের কারণে বেশিদূর যেতে পারেনি। অবশেষে, রিকশা নিয়ে কিছুদূর এবং হেঁটে কিছুদূর গিয়ে অফিসে পৌঁছলাম।’
বৈশাখী পরিবহনের কর্মচারী হাফিজুর রহমান জানান, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে তারা মহাখালী-গুলশান-১ সড়ক অবরোধ করে।
হাফিজুর বলেন, ‘জ্বালানির দাম ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে, তবে আমরা যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া নিতে পারি না। কারণ আমরা এখনও এই বিষয়ে কোনও নির্দেশনা পাইনি, যা অগ্রহণযোগ্য। আমরা যাত্রীদের সঙ্গে বিতণ্ডা এড়াতে আমাদের বাস চালাচ্ছি না।’
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি: চট্টগ্রামে বাস চলাচল বন্ধ
শনিবার সরকারি ছুটির দিন হলেও অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাধারণত এই দিনে তাদের অফিস খোলা রাখে। ফলে রাজধানীর বিভিন্ন বাস স্টপেজে প্রাইভেট সার্ভিসধারীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
অনেক অফিসগামীকে বাস না পেয়ে নিজ নিজ অফিসের দিকে হেঁটে যেতে দেখা গেছে।
তাদের মধ্যে কেউ কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে রবিবার কাজের দিন হওয়ায় দুর্ভোগ বাড়বে।