বৃহস্পতিবার সকালে সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে স্বাধীনতার স্থপতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।
সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় সশস্ত্র সালাম জানায় ও বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।
এসময় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে শহীদ সকলের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে আয়োজিত ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। মোনাজাতে দেশের অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করা হয়।
পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে দলের পক্ষ থেকে জাতির জনকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও চিফ হুইফ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এছাড়া গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ, টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
পরে সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা এবং পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।
এর আগে সকালে জাতীয় শোক দিবসে রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। ধানমণ্ডি থেকে বনানী কবরস্থানে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ১৫ আগস্টে শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। পরে হেলিকপ্টার যোগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নিজ গ্রামে পৌঁছান শেখ হাসিনা।