ইয়াহু নিউজ জাপান-এ প্রকাশিত তোশিবা-র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে জাপানে সর্বোচ্চ সংখ্যক টেলিভিশন দর্শক টেলিভিশন দেখছিলেন নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের ‘অলিম্পিক লরেল’ গ্রহণ-পরবর্তী ‘তিন শূন্য’ বিষয়ক ভাষণের সময়।
এ সময়ে জাপানে মোট টেলিভিশনের ৪৭ শতাংশ টেলিভিশনে দর্শকরা এই ভাষণ শুনছিলেন।
আরও পড়ুনঃ 'অলিম্পিক লরেল' পেয়ে আমি অভিভূত: ড. ইউনূস
সারা জাপানে ক্রমাগতভাবে টিভি দর্শক সংখ্যা নিরূপনের জন্য তোশিবার প্রোগ্রামটি ৩ লাখ ৪০ হাজার টেলিভিশনের স্যাম্পল সাইজের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। এর পর্যক্ষেণ অনুযায়ী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হলে প্রথম ১০ মিনিটে ১০ শতাংশ টেলিভিশনে এই অনুষ্ঠান দেখা শুরু হয়। এরপর ক্রমাগতভাবে এর সংখ্যা বাড়তে থাকে। দর্শক সংখ্যা বাড়তে বাড়তে নোবেল লরিয়েট প্রফেসর ইউনূসের বক্তৃতার সময় এই সংখ্যা সর্বোচ্চ সংখ্যায় পৌঁছে। এসময় ৪৭ শতাংশ টেলিভিশনে জাপানি দর্শকরা এই অনুষ্ঠান দেখছিলেন।
আরও পড়ুনঃ শূন্য গ্যালারিতেই পর্দা উঠলো টোকিও অলিম্পিকের
ইয়াহু নিউজ জাপান-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দর্শক রেটিং রিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের চেয়ে তিনগুণ বেশি হয়েছে। জাপানের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও তথ্য বিশ্লেষণ বিশেষজ্ঞ মিঃ ইয়ুজি সুজুকি ২৪ জুলাই ইয়াহু নিউজ জাপান-এ প্রকাশিত তার প্রতিবেদনে টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দর্শক সংখা বিষয়ে এই তথ্য জানান।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বব্যাপী টিকার সমতা নিশ্চিতের আহবান ড. ইউনূসের
নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস অলিম্পিক লরেল গ্রহণোত্তর বক্তৃতায় সব অ্যাথলেটদের তিন শূন্যের পৃথিবী গড়ার আহ্ববান জানান। তার তিন শূন্যের ব্যাখায় তিনি জানান যে এই তিন শূন্য হবে: শূন্য নীট কার্বন নিঃসরণ, শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীভূতকরণ যার মাধমে দারিদ্রকে চিরতরে দূর করা সম্ভব হবে এবং শূন্য বেকারত্ব প্রতিটি মানুষকে তার উদ্যোক্তা হবার শক্তিকে বিকশিত করার মাধ্যমে।
এই সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দর্শক রেটিং ছিল ৪৭ শতাংশ, অর্থাৎ জাপানে ৪৭ শতাংশ টেলিভিশনে দর্শক তখন তার বক্তৃতা শুনছিলেন।