ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় বিএনপি-আ.লীগের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং আহত হওয়ার ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দুটি দলের নেতারা।
আরও পড়ুন: একই স্থানে আ.লীগ-বিএনপির সমাবেশ, রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি
রবিবার দুপুরে জেলা আ.লীগ ও জেলা বিএনপি তাদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায় অভিযোগ করে বলেন, শনিবার রুহিয়া থানা মাহিলা আ.লীগের একটি বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীরা স্থানীয় এমপি রমেশ চন্দ্র সেনের বাসায় হামলা চালায়।
বিএনপির সুপরিকল্পিত ন্যাকারজনক এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিএনপি বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের অন্তরালে পরিকল্পিতভাবে আ.লীগের এই বর্ষীয়ান নেতা রমেশ চন্দ্র সেন ও সংগঠনের নেতা কর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়।
এসময় আ.লীগের নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দিতে গেলে তাদের ওপর হামলা করা হয়। পরে চৌরাস্তায় আ.লীগ একটি মিছিল নিয়ে গেলে সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ গুলি বর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় একই স্থানে আ.লীগ-বিএনপির সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি
এসময় তাদের তিনজন কর্মী গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান তাদের দলীয় কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে রুহিয়া থানা বিএনপি। সমাবেশ শেষ করে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এসময় মিছিলের পিছন দিক থেকে আ.লীগের নেতাকর্মীরা কোন কারণ ছাড়াই তাদের ওপর হামলা শুরু করে।
তারা আরও জানায়, ধারালো রামদা দিয়ে তাদের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করা হয়। এসময় বিএনপির নেতা আনসারুল হকসহ তাদের অন্তত ১০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।