ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশ শিগগিরই ছয়টি রেল সংযোগের মাধ্যমে এবং ভারত ও নেপাল দুটি রেল সংযোগের মাধ্যমে সংযুক্ত হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যে রেলপথ দক্ষিণ এশিয়ার পরিধিকে দ্রুত কমিয়ে আনছে।’
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন নির্মাণাধীন রয়েছে এবং একটি এলএনজি ক্রস বর্ডার পাইপলাইন এবং এলএনজি টার্মিনাল সম্ভ্যব্যতা যাচাই চলছে।
তিনি বলেন, ভারতের পাওয়ার গ্রিডগুলো তার প্রতিবেশিদের সাথে ক্রমবর্ধমানভাবে একীভূত হচ্ছে।
বুধবার (৯ মার্চ) লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল একাডেমি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে ‘ভারতের প্রতিবেশী’ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ মডিউলের উদ্বোধনী অধিবেশনে শ্রিংলা এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, মহামারি আঘাত হানার পর বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে আমাদের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফর করেছেন।
পড়ুন: দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে সম্মত বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী এবং দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার একটি বিশেষ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার জন্য তারা এসব সফর করেছেন।
তিনি বলেন, প্রতিবেশি দেশগুলো তাদের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
শ্রিংলা বলেন, সড়ক, জল, রেল এবং আকাশপথে আমাদের আশেপাশের কিছু অংশের মধ্যে পরিবহনের মাধ্যমে সংযোগের ক্রমাগত উন্নতি হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারতীয় পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভুটানের সাথে উচ্চ-ক্ষমতার সংযোগের মাধ্যমে সংযুক্ত।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ভারত বাংলাদেশকে প্রায় ১১৬০ মেগাওয়াট, নেপালকে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট, এবং ভুটান থেকে ১.৮ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
শ্রিংলা বলেন, ভারত এই অঞ্চলে বিদ্যুতের ক্ষমতা তৈরিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ভুটানে ২১০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ তৈরি করেছে। এটি আরও বাড়ানো হবে।
এছাড়া ভারত বাংলাদেশে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্প নির্মাণ করছে বলে তিনি জানান।