ঢাকার সদরঘাট এলাকায় দীর্ঘদিন অলস পড়ে থাকা লঞ্চ ও বিআইডব্লিউটিএ’র স্টিমারগুলো পরিষ্কার করে চলাচলের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
গ্রীন লাইন ওয়াটার সার্ভিস ঢাকার লালকুঠি এলাকা থেকে রবিবার সকাল ৮টায় ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে রওনা হবে। এরপর ঢাকা থেকে চাঁদপুর ও শরীয়তপুরগামী সকল লঞ্চ চলাচল শুরু হবে।
বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী ও পিরোজপুরের উদ্দেশে লঞ্চগুলো ঢাকা ত্যাগ করবে। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টায় সরকারি স্টিমার মধূমতি বাদামতলী ঘাট থেকে বরিশাল, মোড়লগঞ্জ ও খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ন পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লঞ্চ মালিক ও নৌ পরিবহন মন্ত্রাণালয় এবং বিআইডাব্লুউটিএ যৌথভাবে লঞ্চ ও স্টিমার চালু করবে।
এছাড়া ঢাকা, বরিশাল, চাঁদপুর, শরীয়তপুর, মুলাদী, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, ভান্ডারিয়া, খুলনা ও মোড়লগঞ্জসহ ৩৪টি নৌরুটে নিয়মিত যাত্রী সেবায় নৌযান চলাচল করবে বলেও জানান তিনি।
এম ভি পারাবত লঞ্চ কোম্পানির মালিক শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, করোনা মোকাবিলা ও এর বিন্তার রোধে যাত্রীদের দূরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অর্ধেক যাত্রী বহন করার জন্য লঞ্চের মাষ্টার ও ষ্টাফদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তবে ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে এখনও লঞ্চ মালিক ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি বলেও জানান তিনি।