সত্যিই ভৌগলিক সীমা কখনও প্রেমের পথে বাধা হতে পারে না। আরেকবার তা সত্যি করেছেন বন্যা ও অনির্বাণ।
একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ভারত থেকে ঢাকায় পড়তে আসেন বন্যা বড়ুয়া। এসময় তিনি তার সহপাঠী অনির্বাণ চৌধুরীর প্রেমে পড়েছিলেন। দুজনেই তখন রাজধানী ঢাকার মাস্টারমাইন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: আবারও আসিফ-লগ্নজিতার মেলবন্ধন
সে সময়ে বন্যার বাবা গোলাপ বড়ুয়া ওরফে অনুপ চেটিয়া নিষিদ্ধ ভারতীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম (উলফা) এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি তখন বাংলাদেশের একটি কারাগারে বন্দি ছিলেন।
মূলত ১৯৯৭ সালে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভিযান থেকে বাঁচতে চেটিয়া বাংলাদেশে লুকিয়ে ছিলেন। এ অভিযোগে তাকে জেলে পাঠানো হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা রাখার অভিযোগও আনা হয়েছিল।
উলফার সাধারণ সম্পাদককে অবশ্য ভারত সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য ২০১৫ সালে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ১ ঘণ্টার পুলিশ সুপার ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী!
এর সাতবছর পর, ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের ডিব্রুগড় শহরের কাছে অনুপ চেটিয়ার আদি গ্রাম জেরাইগাঁওয়ে বন্যা ও অনির্বাণ গাঁটছড়া বাঁধেন।
বিয়ের পর তাদের আরেকটি জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হবে ১৫ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে। অনির্বাণ এখন সেখানে কর্মরত আছেন।
চেটিয়া সম্প্রতি একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি তখন জেলে থাকার কারণে তাদের সম্পর্কের কথা জানতাম না। কিন্তু আমাদের বিপ্লবে তারা যে ধরনের সাহায্য করেছিল, তার জন্য বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রয়েছে।’
উল্লেখ্য, চেটিয়া এবং কয়েকজন যুবক মিলে ১৯৭৯ সালে উলফা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং তারপর থেকে তারা একটি পৃথক অসমীয়া মাতৃভূমির জন্য লড়াই করছেন।
আরও পড়ুন: আরিয়ানকে সিনেমার প্রস্তাব দেন শাকিব খান