প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উড়োজাহাজের নাম রেখেছেন ‘আকাশ তরী’।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে উড়োজাহাজটি গ্রহণ করেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরকে আধুনিকায়ন করার জন্য কাজ করছেন। তার অংশ হিসেবেই নতুন উড়োজাহাজ ‘আকাশ তরী’ আজ দেশে এসেছে। আগামী ৪ মার্চ তৃতীয় ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজটি দেশে এসে পৌঁছাবে।’
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে দেশে আসছে আরেকটি ড্যাশ-৮ বিমান
বিমানের বহরে ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ যুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যেই বিমানের বহরে সম্পূর্ণ নতুন ও অত্যাধুনিক ১৩টি নিজস্ব উড়োজাহাজ যুক্ত হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে এই ড্যাশ- ৮ উড়োজাহাজগুলো যুক্ত হওয়ার ফলে বিমান তার অভ্যন্তরীণ ও স্বল্প দূরত্বের আন্তর্জাতিক রুটগুলোতে ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধি করবে। একই সাথে যাত্রীদের আরও উন্নত ইন-ফ্লাইট সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।’
কানাডার বিখ্যাত এয়ারক্রাফট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি হ্যাভিল্যান্ড নির্মিত অত্যাধুনিক নতুন ড্যাশ ৮-৪০০ চুয়াত্তর সিট সম্বলিত উড়োজাহাজ। পরিবেশবান্ধব এবং অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ এ উড়োজাহাজে রয়েছে হেপা ফিল্টার প্রযুক্তি যা মাত্র ৪ মিনিটেই ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসসহ অন্যান্য জীবাণু ধ্বংসের মাধ্যমে উড়োজাহাজের অভ্যন্তরের বাতাসকে সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ করে যা যাত্রীদের যাত্রাকে করে তোলে অধিক সতেজ ও নিরাপদ। এছাড়াও এ উড়োজাহাজে বেশি লেগস্পেস, এল ই ডি লাইটিং এবং প্রশস্ত জানালা থাকার কারণে ভ্রমণ হয়ে উঠবে অধিক আরামদায়ক ও আনন্দময়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন উড়োজাহাজটি বহরে যুক্ত হওয়ার পর উড়োজাহাজের সংখ্যা হবে ২০টি। এর মধ্যে ১৫টি নিজস্ব এবং ৫টি লিজ। নিজস্ব ১৫টির মধ্যে বোয়িং৭৭৭-৩০০ ইআর ৪টি, বোয়িং ৭৮৭-৮ ৪টি, বোয়িং ৭৮৭-৯ ২টি, বোয়িং ৭৩৭ ২টি এবং ড্যাশ-৮ ৩টি।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আপস নয়: প্রতিমন্ত্রী
বিমানের নতুন উড়োজাহাজ ‘ধ্রুবতারা’ ঢাকায়
ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো দশম বিমান
প্রতিমন্ত্রীর সাথে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদুল হাসান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোকাব্বির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।