তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি খুব শীঘ্রই একটি চুক্তি হবে, যা এ বিষয়ে ভারতের অঙ্গীকার পূরণ করবে।’
জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, অমীমাংসিত দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলো ‘খুব দ্রুত সমাধান হবে’। তবে তিনি নির্দিষ্টভাবে তিস্তার পানিবণ্টনের বিষয়টি উল্লেখ করেননি। সেই সাথে তিনি যৌথ নদী কমিশনকে জোরদার ও কার্যকর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিস্তার পানিবণ্টনের বিষয়ে একটি চুক্তি ২০১১ সাল থেকে ঝুলে আছে। তবে ভারতের সরকার বাংলাদেশকে আশ্বাস দিচ্ছে যে তারা যত দ্রুত সম্ভব চুক্তিটি সম্পন্ন করতে কাজ করছে।
নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য বুধবার নয়াদিল্লি যান রাষ্ট্রপতি হামিদ। শুক্রবার হায়দরাবাদ হাউজে তাদের সাক্ষাৎ ও আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যুও স্থান পায়।
আবদুল হামিদ উল্লেখ করেন যে রোহিঙ্গা সমস্যা শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্যই বোঝা হয়নি, সেই সাথে এটি দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার জন্যও হুমকি।
তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের কাছের বন্ধু। ‘রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত সমাধানে ভারতের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
‘রোহিঙ্গারা যাতে স্বেচ্ছায় তাদের মাতৃভূমিতে ফিরতে পারে সে জন্য রাখাইন রাজ্যে অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে ভারত চাপ প্রয়োগ করতে পারে,’ যোগ করেন রাষ্ট্রপতি।
জবাবে মোদি বলেন, ভারত সব সময়ই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কথা বলে।
‘রোহিঙ্গা ইস্যু বাংলাদেশের একার সমস্যা নয়। এটা এখন সবার চিন্তার বিষয়। এ সমস্যা সমাধানে ভারত সব সময় বাংলাদেশের সাথে আছে,’ বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।