তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ঝালমুড়ি দোকানির ছুরিকাঘাতে আহত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের (শজিমেক) ২৫তম ব্যাচের শেষ বর্ষের ছাত্র মো. মেহেরাজ হোসেন ফাহিম (২৩) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন শজিমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. রেজাউল আলম জুয়েল।
ফাহিম চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জের বাসিন্দা। তিনি ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
পুলিশ এ ঘটনার দুই আসামি বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা থেকে চুরি হওয়া শিশু সিলেটে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
এছাড়া ঘটনার প্রতিবাদে ওই রাতেই মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা বগুড়া-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
জানা গেছে, গত ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে ফাহিম বন্ধুদের সঙ্গে শজিমেক হাসপাতালের ২ নম্বর গেটে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই গেটে ফরিদ ব্যাপারী ও তার ছেলে শাকিল ব্যাপারি ঝাল-মুড়ির ব্যবসা করতেন। সেখানে ঝাল-মুড়ি খাওয়া নিয়ে ফরিদ ব্যাপারীর সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ফাহিম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাকিল তার হাতে থাকা পেঁয়াজ কাটার চাকু দিয়ে ফাহিমের পেটে আঘাত করে পালিয়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে ফাহিমকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন পুলিশ ফরিদ ব্যাপারীকে ও রাতে ছেলে শাকিল ব্যাপারিকেও আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পরের দিন সকালে আহত ফাহিমের বাবা নুর মোহাম্মদ আটক দু’জনকে আসামি করে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন।
ছাত্রলীগের শজিমেক শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মোফাজ্জল হোসেন রনি জানান, ঘটনার তৃতীয় দিনে ফাহিমকে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, ‘চিকিৎসকদের কাছে থেকে আমরা জানতে পেরেছি, ছুরিকাঘাতের পর ফাহিমের শরীরে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ে। সেটি আর নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রাসেল বলেন, ঝাল-মুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার জেরে ফাহিমকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে বাক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ ও পুড়িয়ে হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় বিয়ের আশ্বাসে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী, গ্রেপ্তার ৫