চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় কিতাব আলীকে (৪৮) কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এছাড়া গ্রেপ্তার তিনজনই হত্যা সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। তাদের দুই জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: আদালত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গি সোহেলের স্ত্রী গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন-দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের স্কুলপাড়ার শাহাবুদ্দিন শাবুর ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৮), একই পাড়ার রমজান আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৪) ও লোকনাথপুর মাঝেরপাড়ার মিলন হোসেনের ছেলে হাফিজুর (২০)।
পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, হত্যা মামলার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্তি তিনজনকে গ্রেপ্তার ও হত্যা রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। ডিবি ও থানা পুলিশের একাধিক টিম হত্যা রহস্য উদঘাটনে কাজ করেছে। গ্রেপ্তার আসামিরা স্বীকার করেছেন, কিতাব আলী তাদের পরিচিত ছিল। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে কিতাব আলী ও আসামিরা ঘটনাস্থলে বসে গাঁজা সেবন করেন। এ সময় আর্থিক লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে কিতাব আলীর সঙ্গে থাকা একটি হাসুয়া কেড়ে নিয়ে আসামি সাইফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর ও হাফিজুর তাকে কুপিয়ে জখম করেন। পরে গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ও হাফিজুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। তাদের তিনজনকেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের মাঠ থেকে কিতাব আলীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মাগুরায় হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার