দুর্নীতি মামলা
ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদের জামিন মেলেনি আপিল বিভাগেও
দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ডিআইজি বজলুর রশীদকে জামিন দেননি আপিল বিভাগ।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ বজলুর রশীদকে জামিন না দিয়ে শুনানির জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং বজলুর রশীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শ. ম. রেজাউল করিম।
আরও পড়ুন: আদালত অবমাননা: ব্যাখ্যা জানাতে সুরক্ষা সচিবসহ কারা মহাপরিদর্শককে আপিল বিভাগে তলব
গত বছরের ৫ এপ্রিল বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দেন। এ জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক।
গত ২ এপ্রিল আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ২৯ মে পর্যন্ত জামিন আদেশ স্থগিত করেন। একইসঙ্গে শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান।
২০২২ সালের ৩ নভেম্বর বজলুর রশীদের খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার জরিমানা স্থগিত করে নিম্ন আদালতের নথি তলব করেন।
এ আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এরপর ২৭ নভেম্বর তার জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট।
এর আগে একই বছরের ২৩ অক্টোবর জ্ঞাত আয়ের বাইরে তিন কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কারা কর্তৃপক্ষ থেকে বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি বজলুর রশিদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
এছাড়া তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন চেয়ে আপিল বিভাগে ইনসানিয়াতের মামলা
বিএনপির ৭ শীর্ষ আইনজীবী নেতাকে আপিল বিভাগে তলব
৯ মাস আগে
দুর্নীতি মামলায় তারেকের ৯ বছর, জোবাইদার ৩ বছরের কারাদণ্ড
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আসাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
তবে অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াননি।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।
অভিযোগ গঠনের পর গত ১৩ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করেন আদালত।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলায় রায় ২ আগস্ট
এর আগে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর তারেক রহমান ও জোবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
গত ২৬ জুন হাইকোর্ট মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেন।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনও খারিজ করেন হাইকোর্ট।
তারা দু’জনই পলাতক থাকায় আদালত রিট আবেদনগুলো গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে তা খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিচার কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জোবাইদা ও তার মা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে ৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক।
ওই বছরেই জুবাইদার করা আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন।
হাইকোর্ট ২০১৭ সালে রুলটি খারিজ করে তাকে আট সপ্তাহের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেন।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবাইদার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই: কাদের
১ বছর আগে
তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা: চার্জ শুনানি ৯ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তাদের হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার শুনানি আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত মূলতবি করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আসাদুজ্জামান নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবাইদার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই: কাদের
এর আগে ২০২২ সালের ০১ নভেম্বর দুর্নীতি মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ঢাকার আদালত।
২৬ জুন হাইকোর্ট বিচারিক আদালতকে মামলাটি যত দ্রুত সম্ভব নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
হাইকোর্ট তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে দম্পতির রিট পিটিশনও খারিজ করেছে।
তারা উভয়েই পলাতক থাকায় এগুলো গ্রহণযোগ্য নয় বলে আদালত রিট আবেদন খারিজ করে দেন।
তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিচার কার্যক্রমের ওপর দেয়া স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করেছেন আদালত।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা ও তার মা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে ৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে কাফরুল থানায় অভিযোগ দায়ের করে দুদক।
একই বছর জুবাইদার আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট ২০১৭ সালে এই নিয়ম প্রত্যাখ্যান করে এবং তাকে আট সপ্তাহের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেন।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবায়দাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ
দুদকের মামলায় তারেক-জোবায়দার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিল আদালত
১ বছর আগে
বিএনপি নেতা দুলুর দুর্নীতি মামলার বিচার ১ বছরে শেষ করার নির্দেশ
বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলুর দুর্নীতির মামলার বিচার এক বছরে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলাটির বিচার কার্যক্রম দীর্ঘ ১২ বছর ধরে হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। আজ হাইকোর্ট বেঞ্চ অধ্যক্ষ দুলুর মামলাটির রুল খারিজ করে রায় দিয়েছেন এবং আগামী এক বছরের মধ্যে মামলাটি বিচারিক আদালতকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ১০ দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে বিএফআইইউকে তিন মাসের সময় হাইকোর্টের
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান এবং দুলুর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক খান।
দুলুর বিরুদ্ধে দুদক ২০০৯ সালের ২১ জানুয়ারি লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করে। মামলায় এক কোটি ৬১ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায়ও একই বছরে দুদক চার্জশিট দাখিল করে। এরপর মামলাটি বাতিলের আবেদন জানালে হাইকোর্ট ২৫ আগস্ট ২০১০ সালে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন।
সেই থেকে এ মামলাটি বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কারণে মামলাটি বিচার বন্ধ ছিল।
সোমবার এই রায়ের ফলে মামলাটি সচল হলো।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের আয়কর কর্তৃপক্ষকেই পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
বিপিসির এসএওসিএল-এ ৪৭২ কোটি টাকা অনিয়মের ব্যাখ্যা চেয়েছে হাইকোর্ট
২ বছর আগে
দুর্নীতি মামলায় বরখাস্ত ডিআইজি বজলুর রশীদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি, প্রিজন) বজলুর রশীদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়াও তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আদালত তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বহিষ্কৃত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
শনিবার উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায় দেয়ার জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন আদালত।
দুদক ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর বরখাস্ত ডিআইজি ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে এবং তিন কোটি ১৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর একই দিনে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট সাবেক ডিআইজির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। ২২ অক্টোবর বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আরও পড়ুন: বহিষ্কৃত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ
২ বছর আগে
বদির দুর্নীতি মামলা এক বছরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত রাখতে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলার বিচার কার্যক্রম আগামী এক বছরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রবিবার (২২ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে গত ২২ জানুয়ারি এই মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
আদালতে এদিন বদির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম সোহেল। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলা, অভিযোগ গঠন বাতিলে বদির আবেদন খারিজ
খুরশীদ আলম খান বলেন, এর আগে গত জানুয়ারিতে হাইকোর্ট জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় অভিযোগ গঠনের আবেদন খারিজ করেছিলেন। এরপর মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত রাখতে ফোজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারায় আবেদন করেন। আবেদনে তারা বলেন, এর আগেও সম্পদের হিসাব বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে তার তিন বছরের দণ্ড হয়েছে। তাই এ মামলা চলতে পারে না। হাইকোর্ট তার আবেদন খারিজ করে মামলার বিচার এক বছরের মধ্যে শেষ করতে বলেছেন।
উল্লেখ্য, ৫৬ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ গোপন ও ৭৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর বদির বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পর ২০১৭ সালে এ মামলার কার্যক্রম সচল হয়। এরপর ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বদির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন চট্টগ্রামের বিচারিক আদালত। ওই আদেশ বাতিল চেয়ে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন করেন বদি। মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: সম্রাটের জামিন আবেদন ফের নামঞ্জুর
এর আগে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের হিসাব বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবদুস সোবহান ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি আবদুর রহমান বদি ২০১৩-২০১৪ কর বছরে তার দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নে ৯ কোটি ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৫ টাকার নিট সম্পদ প্রদর্শন করেন। কিন্তু ২০১৪ সালের ২০ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে নিজের এবং তার ওপর নির্ভরশীলদের সর্বমোট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ প্রদর্শন করেছেন পাঁচ কোটি ৩৫ লাখ ৫৮ হাজার ২৭২ টাকা। এ ক্ষেত্রে আসামি বদি তিন কোটি ৮৪ লাখ ৯ হাজার ২৮৬ টাকার সম্পদ গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন।
এ ছাড়া আবদুর রহমান বদি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় নিজের এবং তার ওপর নির্ভরশীলদের মোট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ প্রদর্শন করেছেন ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯২ হাজার ৭২৩ টাকা। এ ক্ষেত্রেও বদি ৫ কোটি ৬৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৪ টাকার সম্পদ গোপন করে মিথ্যা তথ্য সংবলিত সম্পদবিবরণী দাখিল করেছেন। আসামি বদি ইচ্ছাকৃতভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে মিথ্যা তথ্য-সংবলিত সম্পদ বিবরণী দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারার অপরাধ সংঘটন করেছেন। এ মামলার বিচার শেষে ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর সম্পদের হিসাব বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে বদিকে তিন বছরের সাজা দেয়া হয়। এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে সে জামিনে আছে।
আরও পড়ুন: জামিন আবেদন নামঞ্জুর: কারাগারে হাজী সেলিম
২ বছর আগে
ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ’র বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ৯ জানুয়ারি
বরখাস্ত হওয়া সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) পার্থ গোপালের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। ঘুষ গ্রহণ ও অর্থপাচার আইনে তার বিরুদ্ধে এই মামলা করে দুদক।
সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী
২০১৯ সালে ২৮ জুলাই কারাগারে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পার্থ গোপাল বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করার এক পর্যায়ে অভিযান চালায় দুদক। এই সময় দুদক ধানমন্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপালের ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করে। এরপরেই তাকে আটক করা হয়।
পরদিন ২৯ জুলাই তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) ধারায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করে দুদক।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও রাসেলের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরার আদালতে মামলা
অভিযোগপত্রে বলা হয়, বরখাস্ত হওয়া কারা উপমহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিক সরকারি চাকরিতে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে অবৈধভাবে ৮০ লাখ টাকা অর্জন করেন। এসব টাকা গোপন করে তার নামীয় কোনো ব্যাংক হিসাবে জমা না রেখে বিদেশে পাচারের উদ্দেশে নিজ বাসস্থানে লুকিয়ে রেখে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
২ বছর আগে
এস কে সিনহার দুর্নীতি মামলা: খালাস পাওয়া ২ আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
জালিয়াতির মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় খালাস প্রাপ্ত দুই আসামি মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের খালাসের রায় কেন বাতিল হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
দুই আসামির খালাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
এই মামলায় গত ৯ নভেম্বর সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে ১১ বছরের দণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪। এর মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের দায়ে চার বছর এবং মানি লন্ডারিংয়ের আরেক ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া এসকে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দুটি সাজা একসঙ্গে চলবে বলে তাকে সাত বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে জানান আইনজীবীরা।
ওই দিন রায়ে মামলার দুই আসামি টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে খালাস দেন আদালত। এছাড়া মামলার অপর আট আসামির মধ্যে ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীমকে চার বছরের দণ্ড দেন। আর ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক ও সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়কে তিন বছরের দণ্ড দেন।
পরে গত ২০ ডিসেম্বর মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহার খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দুদক আপিল করে।
এই মামলায় এসকে সিনহাসহ মোট আসামি ১১ জন। পলাতক থাকায় সাবেক এই প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতেই হয় বিচার কাজ।
এর আগে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া ঋণের মাধ্যমে চার কোটি টাকা স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: এস কে সিনহার সঙ্গে দণ্ডিত লুৎফুলকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
সিনহার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা: জামিন পেলেন নাজমুল হুদা
২ বছর আগে
বিশেষ পরিস্থিতিতে ব্যক্তির চলাফেরায় বাধা দেয়া যাবে: আপিল বিভাগ
সংবিধানের ৩৬ অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকার হিসেবে কোনো ব্যক্তির চলাফেরার যে স্বাধীনতা দেয়া আছে তা একচ্ছত্র নয় (নন-অ্যাবসলুট) বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগ বলেছেন, একজনের দেশত্যাগের অধিকারকে কখনোই একচ্ছত্র অধিকার হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। বিশেষ পরিস্থিতিতে এই অধিকার স্থগিত করা যেতে পারে। ৩৬ অনুচ্ছেদ ব্যক্তির চলাফেরায় বাধা দেয়াকে অনুমতি দেয় তবে তা অবশ্যই আইন অনুযায়ী এবং জনস্বার্থে হতে হবে। তবে, আইনের সমর্থনে আরোপিত বিধি নিষেধ ছাড়া কোন নির্বাহী আদেশে কারও চলাফেরার স্বাধীনতা খর্ব করা অসাংবিধানিক। বুধবার দুর্নীতি মামলার আসামি বা সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তির বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে দুদকের আবেদন নিষ্পত্তির পূর্ণাঙ্গ রায়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এক রায়ে এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। ১৮ পৃষ্ঠার রায়টি বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে।
আপিল বিভাগ রায়ে বলেন, ৩৬ অনুচ্ছেদে যে স্বাধীনতা দেয়া আছে তার মূল উদ্দেশ্য সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা করা। তাই ফৌজদারি অপরাধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে, পাসপোর্ট জব্দ ও বিদেশ যাত্রা আটকানো যাবে। তারপরও যদি কেউ আইনকে পাশ কাটিয়ে বিদেশ যাত্রার চেষ্টা করে, তাহলে আটকানোর পর, তিন কার্যদিবসের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে। কিন্তু, ফৌজদারি অপরাধে কারও নাম এলেই তার বিদেশযাত্রা রোধ করা যাবে না।
আরও পড়ুন: সপ্তাহে ৩ দিন চলবে ভার্চুয়াল আপিল বিভাগ
এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর সুনির্দিষ্ট বিধি বা আইন প্রণয়ন না করা পর্যন্ত দুর্নীতি মামলার আসামি বা সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তির বিদেশ যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে মর্মে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করেন আপিল বিভাগ। দেশ ত্যাগে দুদকের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি রিটে হাইকোর্ট তিনটি রায় ও দুটি আদেশ দেন। ওইসব আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
এ পাঁচ রিটের মধ্যে একটি হলো, নরসিংদীর আতাউর রহমানের মামলা। বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নরসিংদীর আতাউর রহমান ওরফে সুইডেন আতাউর রহমানের করা এক রিট আবেদনে জারি করা রুলের ওপর ১৬ মার্চ রায় দেন হাইকোর্ট।
দুদকের দেয়া নিষেধাজ্ঞার চিঠি অবৈধ ঘোষণা করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ অভিমতে বলেন, সুনির্দিষ্ট বিধি বা আইন প্রণয়ন না করা পর্যন্ত দুর্নীতি মামলার আসামি বা সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তির বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়ে দুদক নয়, সিদ্ধান্ত নেবেন বিশেষ জজ আদালত। হাইকোর্ট রায়ে বলেছিলেন, বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়ে দুদকের সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধি নেই। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে দ্রুত সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধিমালা করা প্রয়োজন। তাই আশা করছি, এ বিষয়ে দুদক বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আইন বা বিধি করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
আরও পড়ুন: যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছর সাজা: আপিল বিভাগ
আপিল বিভাগের নতুন দুই বিচারপতির শপথ গ্রহণ
২ বছর আগে
এস কে সিনহার ১১ বছর কারাদণ্ড
চার কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে পৃথক দুটি ধারায় ১১ বছরের কারাদণ্ড ও ৪৫ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি বিশেষ আদালত। একই সাথে সিনহার জব্দ করা ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ (আদালত-৪) বিচারক শেখ নাজমুল আলম খান এ রায় দেন।
আদালত মামলার অপর আট আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে খালাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফের পেছাল এস কে সিনহার মামলা রায়
সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) সাবেক অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী, ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম শামীম, প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সাফিউদ্দিন আসকারী, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, মো. লুৎফুল হক, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।
এদের মধ্যে একেএম শামীমের চার বছরের কারাদণ্ড এবং বাকি আসামিদের তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদক সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা এবং অন্য ১০ জনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ আহরণ এবং চার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে ৫ অক্টোবর এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ছিল। ঢাকার বিশেষ জজ (কোর্ট-৪) শেখ নাজমুল আলম খান ছুটিতে যাওয়ায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক আলী হোসেন নতুন তারিখ হিসেবে ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছিলেন।
গত ২৯ অগাস্ট আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে ১১ জন আসামির মধ্যে সাতজন নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
তারা হলেন ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী, ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম শামীম, প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায় এবং মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, মো. শাহজাহান এবং নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা।
২৪ আগস্ট প্রতিরক্ষা আইনজীবীর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক বেনজীর আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মামলায় প্রায় ২১ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অভিন্ন সাজা প্রদান নীতিমালা কেন নয়, জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট
এস কে সিনহার দুর্নীতি মামলা: ২১ অক্টোবর পর্যন্ত রায় স্থগিত
৩ বছর আগে