যুক্তরাষ্ট্র সরকারের করা মানবপাচারের বিরুদ্ধে লড়াইকারী দেশগুলোর একটি তালিকায় বাংলাদেশ টায়ার-২ এ উন্নীত হওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ড. মোমেন বলেন, ‘আমারা এ দেশ থেকে মানবপাচার, শিশু পাচার, নারী পাচার এগুলো বন্ধ করতে চাই। সকলের সহায়তা ছাড়া আমরা এটি করতে পারবো না।’
অবৈধভাবে যারা বিদেশে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তার দায় তাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন বা প্রতিবেশীরাও এড়াতে পারেন না উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্র্রী আরও বলেন, ‘আপনারা বুঝে শুনে আপনাদের সন্তানদেরকে অবৈধভাবে বিদেশে পাঠাবেন না। আর অবৈধভাবে কেউ বিদেশ পাঠানোর কথা বললে পুলিশ বা স্থানীয় প্রশাসনকে তা অবগত করুন।’
এ বিষয়ে সরকারকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অবৈধ মানবপাচার রোধে আপনাদের সকলের সহায়তা প্রয়োজন। এ বিষয়ে দেশবাসীকে শক্তিশালী জনমত গঠন করতে হবে।’
তবে মানবপাচার, শিশু পাচার, নারী পাচার রোধে বাংলাদেশের অনেক অগ্রগতি হয়েছে বলেই বিশ্ব তার স্বীকৃতি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবপাচার বিষয়ক এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে ওয়াচ লিস্ট থেকে টায়ার-২ এ উন্নীত করার কথা বলা হয়।