বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সশস্ত্র বাহিনী আজ দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর পরই যুদ্ধ-বিধস্ত দেশ পুনর্গঠনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীকেও একটি আধুনিক ও চৌকষ বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন। তারই হাতে গড়া সশস্ত্র বাহিনী আজ দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে।’
৫০তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যসহ বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীও একটি আধুনিক, সুসজ্জিত ও সুদক্ষ সশস্ত্র বাহিনীতে রূপান্তরিত হয়েছে - যারা স্থল, আকাশ ও সমুদ্রসহ সর্বক্ষেত্রে একুশ শতকের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম।’
হাইকমিশনার ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ বাস্তবায়নসহ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের সাথে বহুমাত্রিক সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও জোরদার করার ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দুদেশের মধ্যে শিগগিরই প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু হবে।’
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
লন্ডন হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ৫০তম দিবস পালন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।’
তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ ও আন্তরিক। এ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও গভীর ও সুদৃঢ় হবে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি গেভিন রিচার্ডসন ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ বাস্তবায়নে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সাথে কাজ করার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিষ্ঠা ও দেশে-বিদেশে এর বিশেষ ভূমিকা সম্বলিত বর্ণিল ব্যানারে সুসজ্জিত অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর ওপর একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পড়ুন: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জনগণের বাহিনী হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অর্জিত স্বাধীনতা বৃথা যেতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী