স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মঙ্গলবার দেশব্যাপী একযোগে ৭৫ লাখ লোককে করোনা টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিনব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
ইউনিয়ন, ওয়ার্ড থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশন ও শহর এলাকা জুড়ে এই কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে সরকারি, বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবীসহ প্রায় ৮০ হাজার লোক অংশ নিয়েছে।
এদিকে কর্মসূচির কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে দুপুর ১২ টায় ধানমন্ডি ৮/এ, ডিঙি রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে গণটিকা কার্যক্রম শুরু
এসময় মুখ্যসচিব বলেন, সারাদেশে একযোগে টিকাদান কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে পালিত হচ্ছে। দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে টিকাদান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। এই কর্মসূচি আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ না হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে।
সারাদেশের সাথে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালেও এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
এর আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে যুক্ত সকল সংগঠনকে আনুমানিক ৭৫ লাখ ব্যক্তির জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে এই টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে তৎপর থেকে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখার নির্দেশনা দেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আজ বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সারা দেশে ৭৫ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ টিকা কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে পালিত হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে গণটিকা: পরিকল্পনার কথা জানালেন স্বাস্থ্যের ডিজি
এর আগে গতকাল সোমবার কর্মসূচিটি উপলক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, সকাল ৯টা থেকে এদিন সারাদেশের সকল সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়নে দিনব্যাপী এই ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। এই ক্যাম্পেইনে শুধুমাত্র প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে এবং পরবর্তী মাসে একইভাবে ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হবে।
ক্যাম্পেইনের আগে রেজিস্ট্রেশনকৃত ২৫ বছর বয়সোর্ধ নাগরিকদের এসএমএস প্রদানের মাধ্যমে অবহিত করে কেন্দ্রে ডাকা হবে।
এছাড়া ক্যাম্পেইন শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পঞ্চাষোর্ধ বয়স্ক নাগরিক, নারী ও শারিরীক প্রতিবন্ধীদের ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। তবে ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য এনআইডি কার্ড ও টিকা কার্ড সাথে সঙ্গে আনতে হবে। ক্যাম্পেইনে গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারীদের টিকা প্রদান করা হবে না।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পৌঁছেছে ফাইজারের আরও ২৫ লাখ ডোজ টিকা
বিকাল ৫টা নাগাদ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে, যেসব কেন্দ্রে লক্ষ্যমাত্রা পুরণ হয়নি সেসব কেন্দ্রে টিকাদান চলমান ছিল।